পুলিশি হেফাজতে সিগারেট চাইল ডাকাত সর্দার, আরও আবদার মেটাতে হিমশিম
প্রায় ১৪ দিন ধরে পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন ডাকাত সর্দার। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বড় চক্র ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ। এ কাজ করতে গিয়ে উল্টো বিপাকে পড়েছেন তদন্তকারী দল। কাজের কাজ কিছুই হয়নি বরং সেই ‘কুখ্যাত ডাকাত’ কুন্দন সিংহের আবদার মেটাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। কখনও সিগারেট, কখনও ব্র্যান্ডেড টি-শার্ট। আবার গোসলের সময় চাই সুগন্ধি সাবান!
ঘটনাটি ভারতের কলকাতায়। আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, গত মাসে রাজ্যের নদিয়ার রানাঘাটে একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে কুন্দন সিংহ পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি ছাড়াও আরও পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। আরও কেউ জড়িত ছিলেন কি না, এখন সেই খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে রানাঘাটের ঘটনা যেদিন ঘটে, প্রায় একই সময় পুরুলিয়া শহরেও একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি হয়। পুলিশের তদন্তে এ দুই ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র পাওয়া গেছে।
তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, পুরুলিয়ার ডাকাতির ছক কষা হয়েছিল জেলের ভেতরে বসে। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বর্তমানে অন্য রাজ্যের জেলে রয়েছেন। তার সঙ্গে নাকি কুন্দনের যোগাযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, তার হাত ধরেই অপরাধ জগতে পা দেন কুন্দন। এ নিয়ে একাধিক বার কুন্দনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কিছুতেই মুখ খুলতে চাইছেন না রানাঘাটের এ ‘ডাকাত সর্দার’।
তদন্ত সূত্রে আরও জানা যায়, জেলা পুলিশের পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশ ও বিহারের বিশেষ তদন্তকারী দলও কুন্দনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে সব প্রশ্নে ‘ইচ্ছেমতো’ উত্তর দেন কুন্দন। অনেক প্রশ্নে চাপের মুখেও চুপ থাকছেন। তার ইস্পাতকঠিন মনোভাবে কার্যত অবাক করেছে পুলিশ কর্তাদের।
জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময়টুকু ছাড়া দিয়ে বাকি সময় খোশমেজাজেই থাকেন কুন্দন। কখনও পায়ের উপর পা তুলে দিনরাত গান গান। মাঝেমধ্যে প্রহরার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের কাছে চান সিগারেট।
পুলিশের এজ কর্মী জানান, ‘ঠিক সময়ে তার ঘুম, খাওয়াদাওয়া দরকার। সময় পেলেই আবার শরীরচর্চাও করে! আমাদের বন্দুক নিয়েও মাঝেমধ্যে মশকরা করে। আর যে কজন গ্রেপ্তার হয়েছে, ওরা তো সবাই ভয়ে রয়েছে, কাঁদছে। কিন্তু এই কুন্দন সিংহকে সামলাতে গিয়ে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে আমাদের!’
এমএসএ