প্রেমিকা ব্ল্যাকমেইল করছে জানিয়ে নদীতে ঝাঁপ যুবকের, মরদেহ উদ্ধার
প্রেমিকার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ তুলে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন একজন যুবক। এই ঘটনায় ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ওই ৩৮ বছর বয়সী যুবকের নাম মনীশ এবং তার তিন সন্তান রয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাগপুরে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের নাগপুরে কথিত বান্ধবী এবং তার পরিবারের সদস্যদের ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে ফেসবুক লাইভে এক ব্যক্তি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর ৩৮ বছর বয়সী মনীশ তার ফেসবুক লাইভে বলেছিলেন, কাজল নামে তার ১৯ বছর বয়সী বান্ধবী এবং তার পরিবারের সদস্যরা ধর্ষণের অভিযোগে তাকে হুমকি দিচ্ছে।
মূলত ৫ লাখ রুপি না দিলে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছিল বলে আত্মহত্যার আগে দাবি করেন মনীশ। এদিকে ফেসবুক লাইভে আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। এই ঘটনায় ইতোমধ্যেই মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত সেই প্রেমিকার খোঁজও শুরু করেছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, গত ১০ সেপ্টেম্বর এই ঘটনা ঘটে। সেদিন ফেসবুক লাইভে এসে মনীশ বলেন, কাজল নামক ১৯ বছরের এক তরুণী ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে ব্ল্যাকমেইল করছে। ৫ লাখ রুপি না দিলে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছিল বলে দাবি করেন তিনি।
এছাড়া ওই তরুণীর সঙ্গে কোনও শারীরিক সম্পর্ক নেই বলেও সেসময় দাবি করেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম বলছে, গত ৬ সেপ্টেম্বর ওই তরুণী তার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এরপরই তার পরিবার অভিযোগ করে, মনীশের সঙ্গেই পালিয়ে গেছে তাদের মেয়ে। পরে গত ১০ তারিখ ফেসবুক লাইভে এসে কাজল, তার পরিবার ও একজন ফটো স্টুডিও কর্মীর নাম উল্লেখ করেন ওই ব্যক্তি। তার মৃত্যুর জন্য তারাই দায়ী জানিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন মনীশ।
এদিকে আত্মহত্যার লাইভ এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরে ওই ব্যক্তির মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনকে। কাজল নামক ওই তরুণীর খোঁজ চলছে।
টিএম