সুইডেনে কোরআন অবমাননাকারীর গায়ে পাথর ছুড়ে মারলেন সাধারণ মানুষ
![সুইডেনে কোরআন অবমাননাকারীর গায়ে পাথর ছুড়ে মারলেন সাধারণ মানুষ](https://cdn.dhakapost.com/media/imgAll/BG/2023September/salwan-momika-20230903223203.jpg)
সুইডেনের বসবাসরত ইরাকি শরণার্থী সালওয়ান মোমিকা রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) আবারও কোরআন অবমাননা করেছেন। এ সময় তাকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারেন সাধারণ মানুষ। এছাড়া অনেকে পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে মোমিকাকে মারতে যান।
বিজ্ঞাপন
রোববার সুইডেনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর মালমোতে যান মোমিকা। সেখানে পুলিশের অনুমতি নিয়ে কথিত বাকস্বাধীনতার দোহাই দিয়ে কোরআন পোড়ানোর ঘোষণা দেন এই ইরাকি শরণার্থী। ওই সময় সেখানে প্রায় ২০০ জনের মতো মানুষ জড়ো হন বলে জানিয়েছে সংবামাধ্যম এসভিটি।
যখন মোমিকা কোরআনের পাতায় আগুন ধরান তখন তাকে লক্ষ্য করে অনেকে পাথর ছুড়ে মারেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ আরও জানিয়েছে, মোমিকার কাণ্ড নিয়ে সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এরপর স্থানীয় সময় ১টা ৪৫ মিনিটে সেখানে গণ্ডগোল বেধে যায়। মোমিকা যখন পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান তখন সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত হয়।
তবে পরিস্থিতি অশান্ত করার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার ও ১০জনকে পুলিশের জিম্মায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন>>> আইন করে কোরআন অবমাননা নিষিদ্ধ করছে ডেনমার্ক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিতে দেখা যাচ্ছে, মোমিকা যখন পুলিশের গাড়িতে করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন তখন; গাড়িটির সামনে দাঁড়িয়ে সেটি আটকানোর চেষ্টা করেন সাধারণ মানুষ।
গত দুই মাসে মোমিকা অসংখ্যবার কোরআন অবমাননা করেছেন। আর এসব ঘটনার জেরে মধ্যপ্রাচ্য ও মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সুইডেনের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। এমনকি গত মাসে ইরাকে অবস্থিত সুইডিশ দূতাবাসে হামলা চালান সাধারণ মানুষ।
সুইডেনের সরকার কোরআন অবমাননার নিন্দা জানিয়ে থাকে। তবে বাকস্বাধীনতার দোহাই দিয়ে মুসল্লিদের এ পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অবমাননা করার অনুমতি দিয়ে থাকে দেশটির পুলিশ।
আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে সুইডেনের গোয়েন্দা সংস্থা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, কোরআন অবমাননার কারণে তাদের ওপর হামলার ঝুঁকি বেড়ে গেছে।
সূত্র: আল আরাবিয়া
এমটিআই