চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অজানা তথ্য পাঠাল চন্দ্রযান-৩
বহু আশা-আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্নকে বাস্তব করে করে গত ২৩ আগস্ট সফলভাবে চাঁদের বুকে অবতরণ করে ভারতের মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম। নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, এদিন চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটি স্পর্শ করে ল্যান্ডারটি।
এরপর ল্যান্ডার বিক্রম থেকে চাঁদের বুকে নেমে যায় রোভার প্রজ্ঞান। বর্তমানে সেটি চাঁদে বিচরণ করে বেড়াচ্ছে এবং বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে।
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো রোববার (২৭ আগস্ট) জানিয়েছে, রোভার প্রজ্ঞান দক্ষিণ মেরু থেকে প্রথমবারের মতো বৈজ্ঞানিক তথ্য পাঠিয়েছে। এরমাধ্যমে চাঁদের সেই অজানা অংশের তথ্য পেয়েছে বিশ্ববাসী।
এই বৈজ্ঞানিক তথ্য পাওয়ার বিষয়টি ভারতের চন্দ্রযান-৩ মিশনের আরেকটি বড় সাফল্য বলে জানিয়েছে ইসরো।
ভারতীয় এই সংস্থাটি জানিয়েছে, ল্যান্ডার বিক্রমের উষ্ণতা পরিমাপক রেকর্ড করেছে কিভাবে পৃষ্ঠতল, পৃষ্ঠতলের কাছাকাছি এবং চন্দ্রপৃষ্ঠের গভীর ও কাছের তাপমাত্রা পরিবর্তিত হয়।
আরও পড়ুন>>> সামনে এলো চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-ল্যান্ডারের প্রথম ভিডিও
ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের পৃষ্ঠতলের থার্মোফিজিক্যাল পরীক্ষা (চাএসটিই) চাঁদের দক্ষিণের মাটির তাপমাত্রা পরিমাপ করেছে, যেন বোঝা যায় চাঁদের পৃষ্ঠতলের তাপমাত্রা কেমন হয়।
ইসরো আরও জানিয়েছে, এটিতে তাপমাত্রা পরিমাপক ও মাটি খোড়ার যন্ত্র যুক্ত আছে। এই খোড়ার যন্ত্রটি চাঁদের মধ্যে ১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত খুড়তে সক্ষম। এছাড়া এতে তাপমাত্রা পরিমাপকের আলাদা ১০টি সেন্সর রয়েছে।
চাঁদের কোনো বায়ুমণ্ডল নেই এবং চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। ইসরো একটি গ্রাফে তাপমাত্রা পরিবর্তনের বিষয়টি উপস্থাপন করেছে।
এদিকে ভারতের এই চন্দ্রাভিযানের তিনটি উদ্দেশ্য ছিল। প্রথমটি হলো— সফলভাবে ল্যান্ডার বিক্রমকে চাঁদের বুকে অবতরণ করানো, দ্বিতীয়টি— ল্যান্ডার বিক্রমের ভেতর থাকা রোভার প্রজ্ঞানকে চাঁদের মাটিতে নামানো এবং তৃতীয়টি হলো— ১৪ দিন চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করা। এরমধ্যে দুটি উদ্দেশ্য অর্জিত হয়েছে। আর বর্তমানে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
সূত্র: এনডিটিভি
এমটিআই