বাইডেনের ছেলে হান্টারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড শুক্রবার এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
ঘোষণায় গারল্যান্ড জানান, ডেলাওয়্যার অঙ্গরাজ্যের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা ডেভিড ওয়েইস এই তদন্ত পরিচালনা করবেন। তদন্তকাজের সুবিধার্থে তার কিছু অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রদানসহ ‘বিশেষ কৌঁসুলির’ পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন গারল্যান্ড।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তদন্ত শেষে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার মন্ত্রণালয়ে জমা দেবেন ওয়েইস। তার সেই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে মন্ত্রণালয়।
জো বাইডেনের বড় ছেলে হান্টার বাইডেন একজন ব্যবসায়ী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন জো বাইডেন। হান্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ—ওই আট বছর চীন, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশে ব্যবসায়িক নানা চুক্তি ও লেনদেনের ক্ষেত্রে বাবার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের প্রভাব খাটিয়েছেন তিনি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপচারিতার সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাবাকে সঙ্গে রাখতেন হান্টার, মাঝে মাঝে অংশীদারদের সঙ্গে টেলিফোনে কথাও বলতেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির অভিযোগ, ছেলেকে ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ইচ্ছাকৃতভাবেই নিজের ক্ষমতার অপব্যাবহার করেছেন জো বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তার ছেলে অবশ্য বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এর আগে কর ফাঁকি ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে মামলা হয়েছিল হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে। গত জুন মাসে সেসব অভিযোগের সত্যতা স্বীকারও করেছিলেন হান্টার।
হান্টার বাইডেনের এই দুর্নীতি ও সেটির তদন্ত শুরু নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে হোয়াইট হাউসে যোগাযোগ করেছিলেন সাংবাদিকরা, তবে কোনো মুখপাত্র মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জো বাইডেনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ও রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ নেতা ডোনাল্ড ট্রামের এক মুখপাত্র এএফপিকে বলেন, ‘বাইডেনের পরিবারের সদস্যরা নিজেদের মুনাফার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার জনগণের স্বার্থকে বিদেশি শত্রুদের হাতে বিক্রি করে দিয়েছে। সামনের দিনে এরকম আরও অনেক দুর্নীতির অভিযোগ উঠবে বলে আমরা ধারণা করছি।’