ঢাকায় লোটে শেরিংয়ের ২ সফরসঙ্গী করোনায় আক্রান্ত
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় তাঁর সঙ্গে থাকা সে দেশের রয়্যাল অ্যাকাডেমি অব পারফর্মিং আর্টসের (আরএপিএ) দুই শিল্পী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা এখনও ঢাকার শেখ রাসেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ভুটানের জাতীয় দৈনিক কুয়েনসেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। যদিও বাংলাদেশি কোনো কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি। কুয়েনসেলের খবর অনুযায়ী, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের ঢাকা সফরে আরএপিএর ২২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এসেছিল। তখন তাদের মধ্যে ওই দু’জন করোনা পজিটিভ হয়েছিলেন।
সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ মার্চ ঢাকায় বাংলাদেশের দলীয় পারফরম্যান্সের সময় অনুষ্ঠানস্থলেই ভুটানের ওই সাংস্কৃতিক দলের একজন গায়ক জানান, তিনি জ্বর ও মাথা ব্যথায় ভুগছেন।
তিনি এটি জানানোর পর প্রথমে তাকে করোনার র্যাপিড টেস্ট করানোর একটি তাঁবুতে নিয়ে যাওয়া হয়। নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ ফল আসে। নিশ্চিত হওয়ার জন্য করা আরটি-পিসিআর পরীক্ষায়ও তার দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
এই ঘটনার পর আক্রান্ত ওই গায়কসহ আরএপিএর বাকি ২১ সদস্যদের নির্ধারিত সময়ে দেশে ফেরা স্থগিত করা হয়। লোটে শেরিং বাকি প্রতিনিধিদের নিয়ে ২৫ মার্চ ভুটান ফেরেন।
তারপর থেকে তাদের সবাই ভুটানে ২১ দিনের কোয়োরেন্টাইনে রয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের সবার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ফলাফল পাওয়ার কথা।
বাংলাদেশে থাকা আরএপিএর বাকি ২১ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ২০ জন নেগেটিভ হলেও একজন নারী নৃত্যশিল্পীর করোনা শনাক্ত হয়। পরে তাকেও শেখ রাসেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নেগেটিভ হওয়া ২০ জন ২৮ মার্চ ড্রাকএয়ারের একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফেরেন। এখন তারাও নিজ দেশে ২১ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
সূত্র বলছে, ‘সরকারি অতিথি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়মিত তাদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। ঢাকায় অবস্থিত ভুটানের দূতাবাসও নিয়মিত ওই দু’জন এবং তাদের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।’
জানা গেছে, গত ১৯ মার্চ ঢাকার উদ্দেশে ভুটান ত্যাগ করার আগে ওই সাস্কৃতিক দলের সবার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে সবার ফল এসেছিল নেগেটিভ। ঢাকায় পৌঁছানোর পর গত ২২ মার্চ পুনরায় টেস্ট করা হলে সেখানেও নেগেটিভ হয়েছিলেন তারা।
এএস/জেএস