শতভাগ কার্যকর ফাইজারের টিকা
যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধপ্রস্তুকারক কোম্পানি ফাইজার এবং জার্মানির বায়োনটেক বলছে, তাদের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য শতভাগ নিরাপদ এবং কার্যকর। এছাড়া ভ্যাকসিনটি শিশুদের শরীরে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম। দুই হাজারের বেশি শিশুর ওপর চালানো ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে শতভাগ সফলতা মিলেছে বলে বুধবার এক বিবৃতিতে দাবি করেছে এ দুই কোম্পানি।
ফাইজারের প্রধান নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান আলবার্ট বোরলা এক বিবৃতিতে বলেছেন, আগামী স্কুল বর্ষ শুরু হওয়ার আগে শিশুদের শরীরে ভ্যাকসিনটির প্রয়োগ শুরু হতে পারে বলে আশা করছে ফাইজার।
মার্কিন ও জার্মান এ দুই কোম্পানির তৈরি করোনা টিকা ইতোমধ্যে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের শরীরে প্রয়োগের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। স্কুলগামী শিশুদের শরীরে ভ্যাকসিনটি কাজ করবে কি না সেটি নিয়ে নতুন পরীক্ষায় সুখবর পেল ফাইজার-বায়োএনটেক।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী ২ হাজার ২৬০ জন শিশুর দেহে ট্রায়াল চালানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮ জনের কোভিড-১৯ সংক্রমণ হয়েছিল; যাদেরকে ভ্যাকসিনের পরিবর্তে প্ল্যাসেবো দেওয়া হয়। এই ট্রায়ালে করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের শতভাগ কার্যকারিতা মিলেছে।
১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের শরীরে ট্রায়ালে যে ধরনের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিলে, একই ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শিশুদের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে; তবে তা সহনীয় বলে জানিয়েছে ফাইজার। শিশুদের শরীরে দেখা দেওয়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তালিকা প্রকাশ করেনি ফাইজার-বায়োএনটেক।
তবে ১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের আগের ট্রায়ালে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার রেকর্ড আছে এই ভ্যাকসিনের। এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে ইনজেকশনের স্থানে হালকা ব্যথা, মাথা ব্যথা, জ্বর এবং অবসাদ।
এক মাসের ব্যবধানে ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর শিশুদের শরীরে ভাইরাস নিস্ক্রিয়কারী অ্যান্টিবডি তৈরির মাত্রাও আশাব্যাঞ্জক। বোরলা বলেছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভ্যাকসিনটি শিশুদের শরীরে প্রয়োগে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন এবং বিশ্বের অন্যান্য নিয়ন্ত্রকদের কাছে অনুমোদনের আবেদন জানাবে ফাইজার।
আগামী স্কুল বর্ষ শুরুর আগে শিশুদের জন্য এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদনের আশা করছে ফাইজার। এর আগে, গত মাসে ছয় এবং তদুর্ধ্বের শিশুদের শরীরে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করেছে মার্কিন ও জার্মান এ দুই কোম্পানি।
এসএস