আইফোনের প্রথম ভারতীয় প্রস্তুতকারক হতে যাচ্ছে টাটা
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল ফোন আইফোনের প্রথম ভারতীয় প্রস্তুতকারী হিসেবে নাম লেখাতে চলেছে টাটা গ্রুপ। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি আগস্টেই ভারতের বৃহত্তম গ্রুপ অব কোম্পানিজ টাটা গ্রুপের তত্ত্বাবধানে ভারতে আইফোনের উৎপাদন শুরু হবে।
অবশ্য ভারতে যে এই প্রথম আইফোন প্রস্তুতের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে— ব্যাপারটি এমন নয়। কয়েক বছর আগেই দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকে ৬০ কোটিরও বেশি ডলার ব্যয় করে এই ফোনের কারখানা স্থাপন করেছে তাইওয়ানভিত্তিক ইলেকট্রনিক পণ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানি উইস্টরন কর্পোরেশন। ১০ হাজারেরও বেশি কর্মী সেই কারখানায় কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে কারখানাটিতে আইফোন সিরিজের সর্বশেষ সংস্করণ আইফোন ১৪ তৈরির কাজ চলছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উইস্টরন কর্পোরেশনের সেই কারখানাটি কিনে নিচ্ছে টাটা গ্রুপ। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পারস্পরিক আলোচনার পর দুই কোম্পানির কর্মকর্তা ও নীতি নির্ধারক পর্যায়ে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
সূত্রের বরাতে আরও জানা গেছে, কর্ণাটকের এই কারখানাটিতে চলতি বছরের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত এক বছরে অন্তত ১৮০ কোটি ডলারের সমমূল্যের আইফোন প্রস্তুতের জন্য চুক্তিবদ্ধ ছিল উইস্টরন। সেই সঙ্গে আগামী বছরের মধ্যে কারখানার জনবলের সংখ্যা তিনগুণ করারও সিদ্ধান্ত ছিল কোম্পানি কর্তৃপক্ষের।
কারখানাটি ক্রয়ের পর উইস্টরণ কর্পোরেশনের চুক্তি এবং জনবল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত টাটা গ্রুপ বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছে সূত্র। এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে টাটা গ্রুপ, উইস্টরন এবং অ্যাপল— তিন কোম্পানির মুখপাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এনডিটিভি। কিন্তু কেউই কথা বলতে রাজি হননি।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও আইফোন তুমুল জনপ্রিয়। তবে ভারতের বাজারে এই ফোনের যাবতীয় সরবরাহ আসে পশ্চিমা দেশগুলো থেকে। গত এপ্রিল থেকে জুন— তিন মাসে ৫০ কোটি ডলার সমমূল্যের আইফোন আমদানি করেছে ভারত।
অন্যদিকে টাটা গ্রুপ ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ গ্রুপ অব কোম্পানিজ। লবণ থেকে শুরু করে প্রযুক্তিগত পণ্য— সবই উৎপাদন করে এই শিল্প প্রতিষ্ঠান জায়ান্ট। যদি টাটা গ্রুপের তত্ত্বাবধানে ভারতে আইফোনের উৎপাদন শুরু হয়— সেক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতে একদিকে দেশটিতে আইফোনের দাম কমে আসবে এবং অন্যদিকে, এই ফোন আমদানি কমিয়ে বিপুল পরিমাণ ডলার সাশ্রয় করতে পারবে দেশটি।
এসএমডব্লিউ