না জানিয়ে কমান্ডারদের হস্তান্তর, রুশ-তুরস্ক সস্পর্কে প্রভাব পড়বে?
যুদ্ধের সর্বশেষ পরিস্থিতি ও কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে শনিবার (৮ জুলাই) তুরস্কে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তবে সকলকে চমকে দিয়ে— এদিন তুরস্ক থেকে যুদ্ধবন্দি পাঁচ সেনা কমান্ডারকে সঙ্গে নিয়ে— ইউক্রেনে ফেরেন জেলেনস্কি। এ কমান্ডাররা মারিউপোলের আজভস্টাল স্টিল কারখানায় নিযুক্ত ছিলেন। সেখানে রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে দুই মাসেরও বেশি সময় যুদ্ধ করেছিলেন তারা। তবে শেষ পর্যন্ত টিকতে না পেরে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এরপর রাশিয়ার অনুমতিক্রমে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় তুরস্কে। শর্ত ছিল, যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তুরস্কেই বন্দি থাকবেন এ সেনা কমান্ডাররা। তবে জেলেনস্কির অনুরোধ হঠাৎ করেই ‘রাশিয়াকে না জানিয়ে’ ওই পাঁচ কমান্ডারকে ছেড়ে দেন এরদোয়ান।
এ বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায় রাশিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্টর দপ্তর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রে পেসকোভ জানান, তাদের অজান্তেই ওই কমান্ডারদের ইউক্রেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরমাধ্যমে তুরস্ক চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
তুরস্ক-রাশিয়ার সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে এটি?
কমান্ডারদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাশিয়া প্রতিক্রিয়া জানানোর পর প্রশ্ন ওঠেছে— এটি কী রাশিয়া-তুরস্কের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে কিনা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সামরিক বিশেষজ্ঞ পাভেল ফেলগেনহার জানিয়েছেন, বিষয়টি দুই দেশের সম্পর্কে বিরূপ বা খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।
তিনি বলেছেন, আজভ কমান্ডারদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টিকে রাশিয়া ‘মুখে চপেটাঘাত’ হিসেবে দেখছে। কিন্তু এটির বড় কোনো প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই।
‘আমি মনে করি না এরদোয়ানের জন্য এটি গুরুতর কোনো প্রতিক্রিয়া হবে। মস্কো কিছু উচ্চবাচ্য করবে এবং পুরো বিষয়টি ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করবে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘মস্কো-আঙ্কারা সম্পর্কটি রাশিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ… সত্যিকারের বড় কোনো ঝুঁকি এবং মোকাবেলার জন্য। বাণিজ্যিকভাবে, বসফরাস প্রণালীর নিয়ন্ত্রণের দিক দিয়ে তুরস্ক কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
সূত্র: আল জাজিরা
এমটিআই