ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা দেওয়া নিয়ে ‘বিভক্ত’ যুক্তরাষ্ট্র-মিত্ররা
ইউক্রেনকে বিপজ্জনক ক্লাস্টার বোমা দেওয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদেশগুলোর মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে বাড়ছে অস্বস্তিও।
গত শুক্রবার (৭ জুলাই) ইউক্রেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাস্টার বোমা দেওয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
এ ঘোষণার পরপরই যুক্তরাজ্য, কানাডা, নিউজিল্যান্ড এবং স্পেন জানায়, তারা ক্লাস্টার বোমা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।
যুদ্ধের সময়— এমনকি যুদ্ধের পরবর্তী সময়েও এ বোমা বেসামরিক মানুষদের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করে। এ কারণে ১২০টিরও দেশে ক্লাস্টার বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ রয়েছে।
ক্লাস্টার বোমা দেখতে অনেকটা রকেটের মতো। এটির ভেতর ছোট ছোট বোমা থাকে। বিমান, কামান বা রকেট লঞ্চার ব্যবহার করে এটি ছোঁড়া যায়। তবে এটি ছোঁড়ার পর বোমার ভেতর থাকা ছোট ছোট সব বোমায় বিস্ফোরণ নাও হতে পারে। ফলে— যেসব বোমা অবিস্ফোরিত থাকবে পরবর্তীতে সেগুলো বিস্ফোরিত হয়ে— বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি ঘটাতে পারে।
মিত্রদের অস্বস্তি সত্ত্বেও ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা দেওয়ার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছন, মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করেই ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা দিতে সম্মত হয়েছেন তিনি। তবে এ সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময় নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা ছাড়া মানবাধিকার সংস্থাগুলোও এর বিরোধীতা করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ‘ক্লাস্টার বোমা বেসামরিকদের জন্য অনেক বড় হুমকি, যুদ্ধ শেষ হওয়ার দীর্ঘ সময় পরেও এ হুমকি থেকে যায়।’
তবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জ্যাক সুলিভান দাবি করেছেন, রাশিয়া ইতোমধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করেছে। আর তারা ইউক্রেনকে যে বোমা দিচ্ছেন, সেগুলোর অবিস্ফোরিত থাকার সম্ভাবনা কম। উল্টো রাশিয়া যেগুলো এখন ব্যবহার করছে— সেগুলোই বেশিরভাগ অবিস্ফোরিত থেকে যাচ্ছে।
তা সত্ত্বেও মার্কিনিদের সবচেয়ে বড় মিত্র দেশ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্য ১২৩টি দেশের সঙ্গে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার, উৎপাদন ও সরবরাহ না করতে একটি কনভেনশনে চুক্তি করেছে। ফলে তিনি এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন না।
সূত্র: বিবিসি
এমটিআই