ক্রিমিয়ায় হামলা হলে কঠোর ব্যবস্থার হুমকি রাশিয়ার
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া হিমার্স এবং যুক্তরাজ্যের দেওয়া স্টর্ম শেডো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ক্রিমিয়া উপদ্বীপে হামলা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া।
২০১৪ সালে বিনা রক্তপাতে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়া। এরপর সেখানে নিজেদের শক্তিশালী দুর্গ গড়ে তোলে মস্কো।
তবে গত বছর রুশ বাহিনীর পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরুর পর ইউক্রেন ক্রিমিয়া লক্ষ্য করে বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়েছে। এছাড়া উপদ্বীপটি পুনর্দখলের হুমকি দিয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু মঙ্গলবার (২০ জুন) দাবি করেছেন, ইউক্রেনীয় সেনারা এখন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অস্ত্র ব্যবহার করে হামলার পরিকল্পনা করছে। যদি সত্যিই হামলা করা হয় তাহলে কিয়েভের ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণ কেন্দ্রে’ সরাসরি হামলা চালাবেন তারা।
এ ব্যাপারে সোইগু বলেছেন, ‘আমাদের বিশেষ সামরিক অভিযানের অঞ্চলের বাইরে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অর্থ হবে— যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য পুরোপুরিভাবে যুদ্ধে জড়িত হয়েছে— এ ধরনের হামলা হলে কিয়েভে অবস্থিত ইউক্রেনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ কেন্দ্রে তাৎক্ষণিক হামলা চালানো হবে।’
সিদ্ধান্ত গ্রহণ কেন্দ্র বলতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের প্রশাসনিক ভবন ও গোয়েন্দা সংস্থার অবকাঠামোর কথা বুঝিয়েছে রাশিয়া।
অবশ্য এর আগেও এই একই হুমকি দিয়েছিল মস্কো। কিন্তু এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তারা। এবার রাশিয়া এমন সময় নতুন করে আবারও এ হুমকি দিল যখন ইউক্রেনীয় সেনারা, রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দিকে পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে।
সূত্র: আল জাজিরা, দ্য গার্ডিয়ান
এমটিআই