ক্ষেপণাস্ত্র থেকে লেজার বোমা, সবই বহন করে অত্যাধুনিক এই ড্রোন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অত্যাধুনিক এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন কিনতে চলেছে ভারত। সীমান্তে চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই এ ড্রোন কেনার ঘোষণা দিল নয়াদিল্লি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন মার্কিন সফরেই এই নিয়ে চুক্তি চূড়ান্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ড্রোন কী কী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে মার্কিন বিমানবাহিনী, কী ধরনের বোমা বহন করে- এসব নিয়ে এক প্রতিবেদন তৈরি করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এইসময়।
মার্কিন ড্রোন কেনায় সম্মতি
চলতি মাসেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগেই আমেরিকা থেকে অত্যাধুনিক এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন কেনায় সম্মতি জানিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানা যায়, ইরানের জেনারেল সুলেইমানি থেকে শুরু করে আল কায়দার জঙ্গিনেতা জওয়াহিরিকে হত্যার জন্য এই ড্রোনের উপরই ভরসা করেছিল মার্কিন বিমানবাহিনী। ২০০৭ থেকে এই ড্রোন ব্যবহার করে আসছে আমেরিকা।
মার্কিন ড্রোনে ক্ষেপণাস্ত্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম। এজিএম-১১৪ হেলফায়ার মিসাইল থাকে এতে। একসঙ্গে দু'টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে আলাদা আলাদ দু'টি টার্গেট নষ্ট করতে পারে এমকিউ-৯ রিপার।
কাজ করে বম্বারের
শুধু ক্ষেপণাস্ত্র বহনই নয়, বোমারু বিমানের মতোও কাজ করতে পারে এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন। জিবিইউ-১২ লেজার গাইডেড বোমা এতে ব্যবহার করে মার্কিন বিমানবাহিনী।
চীনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা
গত তিন বছরে সীমান্ত সমস্যার জেরে চিনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে ভারতের। বেজিংয়ের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র বহণকারী ঘাতক ড্রোন রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মার্কিনি ড্রোন হাতে এসে গেলে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কোনও অসুবিধাই হবে না ভারতীয় সেনার।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক সুবিধা
জঙ্গি ক্যাম্পগুলোকে ধ্বংস করতে ভবিষ্যতে ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সিদ্ধান্ত নিতে পারে নয়াদিল্লি। সেক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারে এই মার্কিনি এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন।
প্রযুক্তির দেওয়া-নেওয়া
এই ড্রোন কেনার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি হস্তান্তরের কথা বলেছিল ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই শর্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবে কিনা, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে প্রাথমিকভাবে ৩০টি এই ধরনের ড্রোন কেনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
এমজে