ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্প, ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনে আঘাত হেনেছে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ভূমিকম্পের পর ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা এবং আফটার শকের সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।
রাজধানী ম্যানিলা থেকে তিন ঘণ্টার দূরত্বে সমুদ্রের ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি সংঘটিত হয়। এর পরপরই রাজধানীর কিছু জায়গায় রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ফিলিপাইনের ভূকম্পবিদ্যা সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত বা বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পটি সাগরের ১০ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয় এবং আশপাশের প্রদেশে এটি অনুভূত হয়।’
দেশটির পরিবহণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে তিনটি এলিভেটেড রেল লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র ও সহকারি সচিব বার্নার্দো রাফায়েলিত্তো বলেছেন, ‘রেলওয়ে এবং বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন পর্যন্ত বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর আসেনি। আমরা আশা করি আসবেও না।’
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভূমিকম্পের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে রাজধানী ম্যানিলায় একটি হোটেলে কথা বলছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। ওই সময় হোটেল রুমের সিলিং ফ্যান দুলতে দেখা যায়।
ফিলিপাইনের কাতাগানের মেয়র পিটার ওলিভার পালাসিও বলেছেন, ভূমিকম্পের সময় তাদের মনে হচ্ছিল মাথা ঘুরছে।
সাগরের যে স্থানে ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে সেখান থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাতাগান। শহরটির মেয়র জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে কোনো কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা সেটি দেখার জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং দলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ফিলিপাইনের ভূকম্পনবিদ্যা সংস্থা প্রাথমিক অবস্থায় জানিয়েছিল রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২। পরবর্তীতে সংশোধিত তথ্যে জানানো হয় এটি ৬ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী কম্পন ছিল।
সূত্র: রয়টার্স
এমটিআই