দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির রেকর্ড পাকিস্তানের
সদ্য বিদায় নেওয়া মে মাসে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির রেকর্ড করেছে পাকিস্তান। সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণভাবে টানা দুই মাস সর্বোচ্চ মূল্যাস্ফীতিরও রেকর্ডে রয়েছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের সরকারি পরিসংখ্যান দপ্তর পাকিস্তান স্ট্যাটিকটিক্স ব্যুরা জানিয়েছে, মে মাসে দেশটির মূল্যস্ফীতি ছিল ৩৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়াভুক্ত ৮টি দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই তালিকায় পাকিস্তানের পরের অবস্থানে থাকা শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতির হার ছিল ২৫ দশমিক ২ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিলে পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মূল্যস্ফীতি পৌঁছায় ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশে। তারপর মে মাসে তা আরও বেড়ে হলো ৩৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে দেশটির মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে পরিসংখ্যান দপ্তর জানিয়েছে, রেকর্ড মূল্যস্ফীতির প্রভাবে গম, ডাল, আটা-ময়দা, চাল, শাকসবজি, ডিম, মুরগির মাংস, জ্বালানি তেল, গ্যাসসহ প্রায় সব ধরণের পণ্যের দামে উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে।
বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় পাকিস্তানে চলতি বছরের শুরু থেকেই বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ১১০ কোটি ডলার জরুরি ঋণের (বেইল আউট লোন) আবেদন করেছে পাকিস্তানের সরকার। কিন্তু সেই ঋণ দেওয়ার জন্য আইএমএফ যেসব শর্ত দিয়েছে, তার প্রভাবে দেশটিতে দিন দিন আরও বাড়ছে মূল্যস্ফীতি।
আইএমএফের প্রধান শর্ত ছিল জ্বালানি খাত থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহার। ঋণ পেতে এই শর্ত মেনে নিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। তার পর থেকে দেশটিতে বাড়তে থাকে জ্বালানি তেল, গ্যাস, খাদ্য, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের পণ্যের দাম।
এসএমডব্লিউ