ফ্লাইটের আগে যাত্রীদের ওজন মাপার সিদ্ধান্ত এয়ার নিউজিল্যান্ডের
নিউজিল্যান্ডের সরকারি বিমান পরিষেবা সংস্থা এয়ার নিউজিল্যান্ড তাদের যে কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ছাড়ার আগে ওই ফ্লাইটের যাত্রীদের ওজন পরিমাপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফ্লাইটের যাত্রীদের গড় ওজন পরিমাপ সংক্রান্ত একটি জরিপের অংশ হিসেবেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
এই যাত্রীদের ওজনের তথ্য একটি ডেটাবেসে বেনামে বা ছদ্মনামে রেকর্ড করা হবে এবং এয়ার নিউজিল্যান্ডের সাধারণ কর্মী বা যাত্রী সেই ডেটাবেসে ঢুকতে পারবেন না।
বুধবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়ে এয়ার নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘ফ্লাইটগুলোর জ্বালানি সক্ষমতার উন্নতি করতেই যাত্রীদের সম্মিলত ওজনের গড় আমাদের জন্য জানা জরুরি।’
যাত্রীদের জন্য অবশ্য ফ্লাইটে ওঠার আগে ওজন পরিমাপের ব্যাপারটি বাধ্যতামূলক করা হয়নি। তবে এয়ার নিউজিল্যান্ড আশা করছে, যাত্রীরা সহযোগিতা করবেন।
এর আগে ২০২১ সালে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে এয়ার নিউজিল্যান্ড। এখন থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের বেলায়ও এই নীতি প্রযোজ্য হবে।
করোনা মহামারির আগে প্রতি বছর ১ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করতো এয়ার নিউজিল্যান্ড, প্রতি সপ্তাহে ফ্লাইটের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৪০০টি।
মহামারির বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর থেকে নিউজিল্যান্ডে ফের স্বাভাবিক হওয়া শুরু করেছে অভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন খাত।
এয়ার নিউজিল্যান্ডের মুখপাত্র অ্যালেস্টার জেমস বিবিসিকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি যে অনেক যাত্রীর জন্যই হয়তো ওজন পরিমাপ স্কেলে দাঁড়ানোর ব্যাপারটি অস্বস্তিকর; কিন্তু আমরা তাদের নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে চাই, এই তথ্য সম্পূর্ণ গোপন থাকবে এবং যেসব যাত্রী আমাদের সহযোগিতা করবেন, তারা আসলে এর মাধ্যমে আমাদের ফ্লাইটগুলোর নিরাপত্তা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবেন।’
এসএমডব্লিউ