জানুন রাশিয়ার ওয়াগনার বাহিনীর কিছু চমকপ্রদ তথ্য
গতকাল শনিবার (২০ মে) রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়গানার গ্রুপ দাবি করেছে, তাদের সেনারা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের শহর বাখমুত পুরোপুরি দখল করেছে। এই ঘোষণার পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বাহিনীটির প্রশংসা করেন।
ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন বাখমুত দখলের ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘এ শহরের লড়াই ২২৪ দিন স্থায়ী ছিল।’
ওয়াগনার গ্রুপের পরিচয়
ওয়াগনার হলো একটি ভাড়াটে সেনাবাহিনী। এটি রাশিয়ার সামরিক লক্ষ্য ও প্রচেষ্টাগুলো অর্জনে সহায়তা করে থাকে। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বাহিনীর বর্তমান প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন ইয়েভগিনি প্রিগোজিন।
ওয়াগনার সামরিক সহায়তা এমনকি সরাসরি যুদ্ধে পর্যন্ত জড়ায়। এই বাহিনীর সেনারা ইউক্রেন, লিবিয়া, মোজাম্বিক, সুদানসহ কয়েকটি দেশে যুদ্ধ করেছেন বা করছেন।
তবে জেলবন্দিদের হত্যাসহ অসংখ্য যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগ রয়েছে ওয়াগনারের বিরুদ্ধে। এটিকে অনেকটা দয়ামায়াবিহীন বাহিনীও বলা হয়। যদিও ওয়াগনার সবসময় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট পুতিনের হামলায় বড় ভূমিকা রাখছে ওয়াগনার।
প্রতিষ্ঠার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াগনার গ্রুপের অস্তিত্ব স্বীকার করেনি রাশিয়া। তবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বাহিনীটিকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হয়। যদিও সরকারি নথিতে রয়েছে ওয়াগনার একটি পরামর্শক সংস্থা। যুদ্ধ বা অন্য কোনো কিছুই এতে উল্লেখ করা হয়নি।
জানুয়ারিতে প্রকাশিত ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছিল, ইউক্রেনে ওয়াগনারের কমপক্ষে ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন আছে।
এমটিআই