খুব দ্রুতই পৃথিবীর উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি বাড়ার শঙ্কা
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, খুব অল্প সময়ের মধ্যে পৃথিবীর উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। বুধবার (১৭ মে) সংস্থাটি হুঁশিয়ারি দিয়েছে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে উষ্ণতা বৃদ্ধির বিষয়টি পরিলক্ষিত হবে। ইতিহাসে এবারই প্রথমবারের মতো এমন শঙ্কা দেখা দিয়েছে বলেও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি।
তবে ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা শিল্প-পূর্ব সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধির যে সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেই সীমা লঙ্ঘন করবে না এটি।
যুক্তরাজ্যের মেট অফিসের দীর্ঘকালীন আবহাওয়া পূর্বাভাসের প্রধান অ্যাডাম স্কেইফ বলেছেন, ‘২০২৭ সালের মধ্যে তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে ৬৬ শতাংশ। ইতিহাসে এবারই প্রথমবারের মতো আমরা উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধির এতো কাছাকাছি রয়েছি।’
গত বছর বলা হয়েছিল, পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির এ সম্ভাবনা ৫০-৫০।
উষ্ণতা বৃদ্ধির আংশিক কারণ হলো এল নিনো ওয়েদার প্যাটার্ন। আগামী কয়েক মাসে এ প্যাটার্ন তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক এ বিষয়টি যে সময় ঘটে তখন গ্রীষ্মমন্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগরের উষ্ণ পানি উপরের বায়ুমন্ডলকে গরম করে দেয়, যার কারণে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মহাসচিব পিটারি টালাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ‘এল নিনোর সঙ্গে মানবিক কারণে পরিবর্তিত জলবায়ু— বিশ্বের তাপমাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছাবে, যেটির সঙ্গে আমরা পরিচিত নয়।’
যদিও বৈশ্বিক তাপমাত্রা হয়ত ১ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়বে না। কিন্তু এ শঙ্কা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা মাত্র ১০ শতাংশ। সেটি বেড়ে এখন ৬৬ শতাংশে পৌঁছেছে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা মূলত অনুমানের ওপর ভিত্তি করে দীর্ঘকালীন আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে থাকে। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী ৫ বছরের যে কোনো একটি বছর পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম হবে। যা ২০১৬ সালের রেকর্ড ভেঙে দেবে। ওই বছর পৃথিবীর তাপমাত্রা সাধারণের তুলনায় ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।
সূত্র: রয়টার্স
এমটিআই