ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৪ শিশুসহ ২০ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ও পশ্চিম তীর ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় গত দুই দিনে ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৪২ জন। নিহতদের মধ্যে ৪টি শিশুও রয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সংবাদভিত্তিক চ্যানেল আল জাজিরা।
গতকাল মঙ্গলবার ফিলিস্তিনে সশস্ত্রগোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের জেষ্ঠ্য নেতাদের লক্ষ্য করে গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালায় ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। ওই হামলায় গোষ্ঠীটির ৩ জেষ্ঠ্য নেতাসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এদের মধ্যে ৪টি শিশুও রয়েছে।
আজ বুধবার অবরুদ্ধ গাজা ও পশ্চিম তীর উভয় এলাকায় আবারও অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। হামলা করা হয় বিমান থেকে। এই হামলায় নিহত হয়েছেন ইসলামিক জিহাদের ২ যোদ্ধাসহ আরও ৫ ফিলিস্তিনি।
মঙ্গলবার ইসলামিক জিহাদের যে ৩ জেষ্ঠ্য নেতা নিহত হয়েছেন তারা হলেন জিহাদ ঘান্নাম, খলিল আল বাতিনি এবং তারেক এজেদাইন। এই ৩ জনের মধ্যে এজেদাইন গাজায় নিহত হলেও তিনি মূলত ইসলামিক জিহাদের অবরুদ্ধ পশ্চিম তীর শাখার নেতা বলে জানা গেছে।
বুধবার অবরুদ্ধ পশ্চিম তীরের কাবাতিয়া শহরে ইসলামিক জিহাদের দুই যোদ্ধাসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহত দুই যোদ্ধার নাম আহমেদ জামাল তওফিক আসাফ (১৯) এবং রনি ওয়ালিদ আহমেদ কাতানাত (২৪)।
এদিকে মঙ্গলবার অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামলার পর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ শুরু করে হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। তবে রকেট প্রতিরোধী ব্যবস্থার কারণে ইসরায়েলের কোনো শহরে আঘাত হানতে পারেনি বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সংস্থ্যা মাগেন ডেভিড অ্যাডম ইমার্জেন্সি সার্ভিস।
অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ মঙ্গলবার এক বার্তায় বলেন, ‘ইসরায়েল গাজার নেতৃত্বকে বিলীন করে দিতে চাইছে; কিন্তু তাদের এই ইচ্ছে কখনও পূরণ হবে না। গাজা দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’
আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ২০২১ সালের পর এই প্রথম বড় ধরনের সংঘাতে জড়িয়েছে ইসরায়েল এবং অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড।
২০২৩ সালের শুরু থেকেই অবশ্য ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। ফিলিস্তিনের সরকারের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানে অবরুদ্ধ গাজা ও পশ্চিম তীর— দুই ভূখণ্ডে নিহত হয়েছেন অন্তত ১২৬ জন।
এসএমডব্লিউ