নাগরদোলায় চুল আটকে উপড়ে গেল খুলি, ২৫ ফুট নিচে পড়ে মৃত্যু তরুণীর
মেলা দেখতে বেরিয়েছিলেন। আনন্দ করে নাগরদোলায় চেপেছিলেন। কিন্তু খোলা চুলে নাগরদোলায় বসাই কাল হলো তার। নাগরদোলার লোহার বেয়ারিংয়ের খাঁজে আটকে থাকা চুল খুলিসহ উপড়ে গিয়ে প্রাণ গেল এক তরুণীর। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাঁকুড়ার এক্তেশ্বর এলাকায়।
স্থানীয় পুলিশ বলছে, মেলায় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো তরুণীর নাম প্রিয়াঙ্কা বাউড়ি।
পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাঁকুড়ার প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী এক্তেশ্বর গাজন মেলার শেষ দিন ছিল শুক্রবার। সকালের দিকে ভিড় জমে যায় মেলায়। পার্শ্ববর্তী ভাদুল গ্রাম থেকে পরিবারের কয়েক জনের সঙ্গে মেলা দেখতে যান প্রিয়াঙ্কাও। এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরির পর সবাই মিলে নাগরদোলায় উঠেছিলেন। আর তখনই ঘটে দুর্ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, নাগরদোলা ঠিক ঘুরতে শুরু করেছে, ওই সময় প্রিয়াঙ্কার খোলা চুল আটকে যায় নাগরদোলার বেয়ারিং এবং ধাতব দণ্ডে। সঙ্গে সঙ্গে আসন থেকে ছিটকে আটকে পড়া চুলসহ নাগরদোলার একটি ধাতব দণ্ডে ঝুলতে থাকেন প্রিয়াঙ্কা।
কয়েক সেকেন্ড ঝুলে থাকার পর আচমকা চুল এবং মাথার খুলির ওপরের অংশ শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রায় ২৫ ফুট উপর থেকে মাটিতে পড়ে যান প্রিয়াঙ্কা। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান স্থানীয়রা।
কিন্তু তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। ওই হাসপাতাল থেকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান তিনি।
এক্তেশ্বর মন্দির কমিটির সদস্য লালমোহন দেওঘরিয়া বলেন, করোনার জন্য গত কয়েক বছর আমাদের গাজন মেলা বন্ধ ছিল। এবারই শুরু হয়েছে মেলা। সেই মেলা দেখতে এসে এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল! আমরা শোকাহত।’
অন্য দিকে, মৃত তরুণীর পরিবার এই দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে। ইতোমধ্যে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে।
এসএস