গোপন নথি ফাঁস জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক: পেন্টাগন
যুক্তরাষ্ট্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় নথি ফাঁস হয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলছে, এটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য চিন্তার। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এখন খোঁজার চেষ্টা করছেন, কোন দেশ বা ব্যক্তি এই তথ্য ফাঁস করেছে।
ইউক্রেনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম থেকে ইসরায়েলের গোয়েন্দা শাখা-সহ অনেক বিষয়ে বহু তথ্য ফাঁস হয়েছে। পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক প্রতিরক্ষা সচিবের সহকারী বলেছেন, নথি ফাঁসের এই ঘটনা দেশের নিরাপত্তার জন্য খুবই বিপজ্জনক। তাই বিষয়টি রীতিমতো চিন্তার।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী দেশের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখছে, কী ধরনের তথ্য বাইরে এসেছে এবং কোন দেশকে তা দেওয়া হয়েছে।
অনেক নথি অনলাইনে পোস্ট করা হয়েছে। সেগুলোর সত্যতাও যাচাই করা হচ্ছে। কিন্তু পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং জানিয়েছেন, এই তথ্যগুলো অত্যন্ত গোপন ও স্পর্শকাতর।
গত কয়েকদিন ধরে টুইটার, টেলিগ্রাম, ডিসকর্ড এবং অন্য সামাজিক মাধ্যমে সমানে এই সব তথ্য ফাঁস হচ্ছে। ফাঁস হওয়া তথ্যের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ, চীন, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকা সংক্রান্ত বিষয় রয়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, গোপনীয় বলে চিহ্নিত করা গত ২৩ ফেব্রুয়ারির একটি নথিতে বলা হয়েছে, যে হারে ইউক্রেন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এস-৩০০ ব্যবহার করছে, তাতে তার কার্যকারিতা আর খুব বেশিদিন থাকবে না।
ওয়াশিংটন পোস্টকে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিছু নথিপত্র ঠিক নয়, কিন্তু কিছু নথি ঠিক। সেইসব সব গোপনীয় নথি হোয়াইট হাউস, পেন্টাগন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ স্তরে পাঠানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই সব নথি রাশিয়ার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই সব নথি থেকে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়ার সেনা কাঠামোর মধ্যে কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশ করেছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেছেন, ‘ফাঁস হওয়া তথ্য খুবই ইন্টারেস্টিং। প্রত্যেকে এখন এই সব তথ্য বিচার-বিশ্লেষণ করছে।’
পেশকভ বলেছেন, ‘রাশিয়া এই তথ্য ফাঁস করেছে কি না, তা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। কিন্তু আপনারা জানেন, যাই হোক না কেন, শেষপর্যন্ত সব দোষ রাশিয়ার ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়। এটা একটা রোগের মতো।’
ফাঁস হওয়া নথিতে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, ফাঁস হওয়া তথ্যের ফ্যাক্ট চেক হওয়াটা জরুরি।
টিএম