বুরকিনা ফাসোয় সন্ত্রাসীদের হামলায় ১৫ নিরাপত্তা কর্মী নিহত
সহিংসতায় বিধ্বস্ত পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে সন্ত্রাসীদের হামলায় কমপক্ষে ১৫ নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বুরকিনা ফাসোর সৈন্য এবং সেনা সহায়কও রয়েছে। গত বুধবার (২২ মার্চ) দেশটির উত্তরাঞ্চলে এই হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
আফ্রিকার এই দেশটির তিনটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির মধ্য-উত্তরাঞ্চলে এই হামলা চালায় অজ্ঞাত সশস্ত্র আততায়ীরা। মূলত দেশটির ওই এলাকা আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সাথে যুক্ত গোষ্ঠীগুলোর জিহাদি কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল বলে পরিচিত।
একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলার শিকার সৈন্যরা ঘটনাস্থলে পানির পাইপ পাহারা দিচ্ছিল। গুরুত্বপূর্ণ এসব পাইপ প্রায়ই সন্ত্রাসী দলগুলো ধ্বংস করে দেয়। এছাড়া এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বুরকিনা ফাসোর উত্তর এবং পূর্বের বেশ কয়েকটি অংশে প্রবেশও বন্ধ করে দিয়েছে।
সেখানে বিদ্রোহী যোদ্ধারা রাস্তা খনন করে শহর অবরোধ করেছে এবং পানির অবকাঠামো ধ্বংস করেছে। এছাড়া আটকে পড়া বেসামরিক নাগরিকদের খাবার ও পণ্য সরবরাহের প্রচেষ্টাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
অবশ্য বুরকিনা ফাসোর সরকারের মুখপাত্র বুধবারের হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান হামলা মোকাবিলায় রীতিমতো সংগ্রাম করছে বুরকিনা ফাসো। সশস্ত্র এসব গোষ্ঠীগুলোর বেশিরভাগই জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দা এবং আইএস’র সঙ্গে সম্পৃক্ত। এছাড়া গত এক দশকে আফ্রিকার এই দেশটিতে সহিংসতা অনেক বেড়েছে এবং জোরালো হয়েছে। আর এতে প্রতি বছর হাজার হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।
এছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বুরকিনা ফাসো, নাইজার এবং মালির বিস্তৃত এলাকাজুড়ে জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সম্পর্কিত জিহাদিদের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল থেকে কয়েক মিলিয়ন সাধারণ মানুষ তাদের বাড়ি-ঘর থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন। এসব হামলা ও সহিংসতায় নিহত হয়েছেন হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ।
এছাড়া সাহারার দক্ষিণে সাহেল অঞ্চলে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
টিএম