ট্রাম্পের পক্ষের হুমকিগুলোতে ‘ইরানের হাত’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মৃত্যুর হুমকি দিয়ে যেসব ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছিল এর পেছনে ইরানের হাত রয়েছে বলে প্রায় নিশ্চিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এফবিআই এবং সাইবারসিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি (সিআইএসএ) এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানই যে এর পেছনে ছিল তার খুবই বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে বিভেদ ও অবিশ্বাস তৈরি করা এবং দেশটির নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিষয়ে জনমনে আস্থা কমানোর লক্ষ্য নিয়ে এ অপারেশন চালায় ইরান।
'এনিমিজ অব দ্য পিপল' এবং এবং এনিমিজ অব দ্য নেশন' নামে এসব ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তৈরি করা হয়। এগুলোতে মার্কিন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ৩৮ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম, ছবি, বাড়ির ঠিকানাসহ বিস্তারিত তুলে দেয়া হয়।
ওয়েবসাইটে তাদের ছবির সঙ্গে বন্দুকের নিশানাও যুক্ত করা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার মিত্রদের পক্ষ থেকে কয়েকটি সুইং স্টেটে ব্যাপক ইলেকট্রনিক ভোটিং কারচুপির অভিযোগ করা হয়েছে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে। তবে আইনি লড়াইয়ে টেকেনি এসব অভিযোগ।
অভিযুক্ত ডোমেইনগুলোর একটি নোটে বলা হয়েছে, নির্বাচনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতারণায় এরা জড়িত। ভোট পরিবর্তন ও প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কাজ করা রাষ্ট্রদ্রোহ এবং দেশপ্রেমিক আমেরিকানদের তাদের কখনোই ক্ষমা করা উচিত নয়, যারা আমাদের গণতন্ত্রের পথ থেকে বিচ্যুত করেছে।
এফবিআই ও সিআইএসএ চারটি ইমেইল ঠিকানাও চিহ্নিত করেছে যেগুলোতে থেকে হুমকি দিয়ে ইমেইল পাঠানো হয়েছিল।
ফেসবুক, টুইটার, পিনটারেস্টসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওয়েবসাইটগুলোর লিঙ্ক ছড়িয়ে দিয়ে ট্রাম্পের সমর্থকদের উদ্দেশে বলা হয়- যারা আমাদের দেশ ও গণতান্ত্রিক আদর্শের সাথে প্রতারণা করেছে এখানে তাদের বিস্তারিত যুক্ত করুন।
এফবিআই প্রধান ক্রিস্টোফার রে, সিআইএসএ-এর সাবেক প্রধান ক্রিস ক্রেবসসহ মার্কিন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করা অনেকের ছবি ও বিস্তারিত আছে ওই ডোমেনগুলোতে।
অভিযুক্ত সমস্ত ডোমেইন ও সেগুলোর আর্কাইভ সব ভার্সন এরইমধ্যে সরিয়ে ফেরা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকা বেশিরভাগ অ্যাকাউন্টও সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এবার দিয়ে দ্বিতীয়বার ইরানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনল যুক্তরাষ্ট্র।
অক্টোবরে ডেমোক্রেটিক ভোটারদের ইমেইলে হুমকি পাঠানোর অভিযোগ তোলা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে।
ইরান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং এফবিআইয়ের বিবৃতির বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
সূত্র : বিবিসি।
এনএফ