তীব্র ঝাঁকুনিতে মাঝ আকাশে প্রাণ গেল বিমানের যাত্রীর
বিমানের তীব্র ঝাঁকুনিতে মাঝ আকাশে প্রাণ হারিয়েছেন এক যাত্রী। গত শুক্রবার (৩ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
বোম্বারজার সিএল৩০ মডেলের একটি ব্যক্তিগত বিমানে (প্রাইভেট জেট) এ ঘটনা ঘটেছে। বিমানটি ভার্জিনিয়ার লিসবার্গ এক্সিকিউটিভ বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে নিউ হ্যাম্পশায়ারের কিনের ডিলান্ট-হপকিন্স বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। কিন্তু মাঝ আকাশে ঝাঁকুনির কারণে এটি কানেক্টিকাটের ব্র্যাডলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় জরুরি অবতরণ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড (এনটিএসবি) এক টু্ইটে বলেছে, তীব্র ঝাঁকুনির কারণে এক যাত্রী মারাত্মক জখম হন। ওই সময় বিমানটিতে তিন যাত্রী ও দু’জন কেবিন ক্রু ছিলেন। বিমানের বাকি যাত্রীদের অবস্থা কেমন সেটি নিশ্চিত করেনি এনটিএসবি ।
তবে এ ঘটনায় বিমানবন্দরে বিমান উঠা-নামায় কোনো বিঘ্ন ঘটেনি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এনটিএসবি জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। বিমানের ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার এবং ককপিট ভয়েস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
মাঝ আকাশে প্রাণ হারানো ওই ব্যক্তির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছেন কানেক্টিকাটের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তবে ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
বিমানের ঝাঁকুনিতে মৃত্যু হতে পারে?
বিমানে সিটবেল্ট বাঁধা না থাকলে এবং মাঝ আকাশে ঝাঁকুনি দেখা দিলে গুরুতর জখম হওয়ার শঙ্কা থাকে। এফএএ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১২১ পার্ট বিমানে ঝাঁকুনির কারণ আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ৮০ ভাগই হলেন কেবিন ক্রু।
১৯৮০ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিমানের ভেতর ঝাঁকুনিতে আহত হয়ে মাত্র তিনজন মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে এনটিএসবি।
সূত্র: সিএনএন
এমটিআই