আদানির ক্ষতিতে ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ হবে মোদির পরিকল্পনা
ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপ কয়েকদিন ধরে বেশ খারাপ সময় পার করছে। শেয়ার বাজারে ‘কারচুপির’ অভিযোগ এনে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে গত ২৪ জানুয়ারি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। এরপরই আদানি গ্রুপের শেয়ার বাজারে ধস নামতে থাকে। এছাড়া আদানির ব্যক্তিগত সম্পত্তিও বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে।
গৌতম আদানির প্রতিষ্ঠানের এমন পতন— ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক পরিকল্পনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
কারণ ভারতে যেসব অর্থনৈতিক কার্যক্রম চলে তার বড় একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে আদানি গ্রুপ। ভারতে তাদের রয়েছে কয়লা খনি, সামুদ্রিক বন্দর ও বিমানবন্দর।
আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ ফেলো সদানন্দ ধুমে ব্লমবার্গ টিভিকে এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘যদি আদানির পতন হয়, তাহলে এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক পরিকল্পনার একটি বড় অংশও নিয়ে যাবেন তিনি।’
সদানন্দ আরও বলেছেন, ‘আদানি হলেন সেই ব্যক্তি যিনি শুধুমাত্র অবকাঠামোতেই বিনিয়োগ করেননি, তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতেও বিনিয়োগ করেছেন।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি মনে করি না ভারতে এখন এমন কোনো ব্যবসায়ী আছেন, যার সঙ্গে গৌতম আদানির মতো গভীর সম্পর্ক আছে মোদির। তাদের মধ্যে সম্পর্ক আছে ২০ বছর ধরে।’
এদিকে আদানি গ্রুপের কথিত ‘শেয়ার ক্যালেঙ্কারি’ সামনে আসার পর থেকেই ভারতের বিরোধীদলগুলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং গৌতম আদানির মধ্যে গভীর সম্পর্ক আছে, এমনটি প্রমাণের চেষ্টা করছেন। যদিও মোদি এ ব্যাপারে চুপ আছেন।
গৌতম আদানি এবং নরেন্দ্র মোদি দু’জনেরই উত্থান হয়েছে ভারতের গুজরাট থেকে। দু’জনই পৌঁছেছেন সর্বোচ্চ জায়গায়। এখন পর্যন্ত আদানির পতন নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।
সূত্র: ব্লুমবার্গ
এমটিআই