মোদির সার্টিফিকেটের তথ্য দিতে নারাজ গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়
তথ্য অধিকার আইনে নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি সার্টিফিকেটের বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এ নিয়ে এবার গুজরাট হাইকোর্টের কাছে জবাব দিল গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, ‘এতে প্রধানমন্ত্রীর গোপনীয়তা প্রভাবিত হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার গুজরাট হাইকোর্টে এর ওপরে চলছিল শুনানি। গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা উপস্থিত ছিলেন আদালতে। আর তিনিই জানান যে, এই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর গোপনীয়তা প্রভাবিত হচ্ছে।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়কে বাধ্য করা যাবে না এই তথ্য পেশ করতে। আদালতে তুষার মেহতা বলেন, ‘গণতন্ত্রে, ওই অফিসের অধিষ্ঠাতা শিক্ষিত হোন বা অশিক্ষিত হোন। বিষয়টি নিয়ে জনতার কোনো আগ্রহ নেই, এতে প্রধানমন্ত্রীর গোপনীয়তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
এর আগে, সিআইসি থেকে নির্দেশ আসে প্রধানমন্ত্রীর পাবলিক ইনফরমেশন অফিসারের কাছে। এছাড়াও গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক ইনফরমেশন অফিসারকে এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট পেশ করার কথা। প্রধানমন্ত্রীর স্নাতক ও স্নাতোকোত্তরের সার্টিফিকেট পেশ করার কথা বলা হয়।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী হলফনামা বা বিভিন্ন নথিতে নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, তিনি ১৯৭৮ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতোকোত্তর পাস করেন। এদিকে তথ্য অধিকার আইনে মোদির সার্টিফিকেট দেখতে চাওয়া নিয়ে তুষার মেহতা জানান, সেই সার্টিফিকেট আদালতে দেখাতে কোনো সমস্যা নেই, তবে এতে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত দিক প্রভাবিত হবে। সলিসিটার জেনারেল আদালতে বলেন, ‘কারোর শিশুসুলভ ও দায়িত্বজ্ঞানহীন কৌতূহল নিবারণ করতে এমন তথ্য পেশ করতে পারি না আমরা। এটা মনে রাখতে হবে যে, যে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে, তা তার (মোদি) জনমানসে ছবির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।,
এমএ