তুরস্কের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল আশপাশের বিভিন্ন দেশও
তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ইতোমধ্যে নিহতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে। ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে সিরিয়ার বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এটি কাছাকাছি লেবানন, গাজা ও সাইপ্রাসেও অনুভূত হয়েছিল।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতের একজন ছাত্র মোহাম্মদ এল সামা বিবিসিকে বলেন, আমি লিখছিলাম। হঠাৎ করেই পুরো ভবন কাঁপতে শুরু করে।
তিনি বলেন, আমি ঠিক জানালার পাশেই ছিলাম। তাই ভয় পেয়েছিলাম যে জানালা ভেঙে যেতে পারে। এটি চার-পাঁচ মিনিট ধরে চলেছিল এবং বেশ ভয়ঙ্কর ছিল।
গাজা স্ট্রিপের বিবিসি প্রযোজক রুশদি আবুআলোফ বলেন, তিনি বাড়িতে ছিলেন সেখানে প্রায় ৪৫ সেকেন্ডের মতো কাঁপুনি অনুভব করেছিলেন।
মিসরের কায়রো পর্যন্ত অনুভূত ভূমিকম্পটি সিরিয়ার সীমান্ত থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার (৬০ মাইল) দূরে গাজিয়ানটেপ শহরের উত্তরে কাহরামানমারা প্রদেশের পাজারসিক জেলায় সংগঠিত হয়।
তুরস্কের দুর্যোগ সংস্থার প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, এখন পর্যন্ত ৭৬ জন নিহত ও ৪৪০ জন আহত হয়েছেন।
সিরিয়াতেও নিহতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে ভূমীকম্পপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো তুরস্ক। ১৯৯৯ সালে তুরস্কের দুজকে অঞ্চলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই দুর্যোগে দেশটিতে মোট নিহতের সংখ্যা ছিল ১৭ হাজারেরও বেশি। একক শহর হিসেবে ইস্তাম্বুলে নিহতের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি— প্রায় ১ হাজার জন।
তারপর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় শহর এলাজিগে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৪০ জন নিহত হন। একই বছর অক্টোবরে এজিয়ান সাগর উপকূলে ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই দুর্যোগে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছিল ১১৪ জনে।
ওএফ