ছড়াচ্ছে ‘শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতা’, উত্তর কোরিয়ার রাজধানীতে লকডাউন
উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ব্যাপক হারে ছড়িয়েছে পড়েছে শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতা। আর অজ্ঞাত এই অসুস্থতার জেরেই পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির রাজধানীতে পাঁচ দিনের লকডাউন আরোপ করা হয়েছে।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনকে নিউজ এই তথ্য সামনে এনেছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অজ্ঞাত শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা ক্রমবর্ধমানভাবে ছড়িয়ে পড়ায় উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কর্তৃপক্ষ পাঁচ দিনের লকডাউন জারি করেছে।
উত্তর কোরিয়াকে পর্যবেক্ষণকারী এনকে নিউজের তথ্য অনুসারে, লকডাউন জারির নোটিশে কোভিড-১৯ উল্লেখ করা হয়নি। তবে সেটিতে বলা হয়েছে, শহরের বাসিন্দাদের আগামী রোববার পর্যন্ত তাদের বাড়িতে থাকতে হবে এবং প্রতিদিন একাধিকবার তাপমাত্রা পরীক্ষা করে সেটার রিপোর্ট সাবমিট করতে হবে।
এদিকে মঙ্গলবার সিউল-ভিত্তিক এই সংবাদ ওয়েবসাইটটি জানিয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ের বাসিন্দারা কর্তৃপক্ষের কঠোর পদক্ষেপের আশঙ্কায় পণ্য মজুত করছেন বলে মনে হচ্ছে। তবে পিয়ংইয়ং ছাড়া উত্তর কোরিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে নতুন করে এই লকডাউন আরোপ হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
২০২০ সালের মার্চে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরু হলেও উত্তর কোরিয়া গত বছর নিজেদের প্রথম করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কথা স্বীকার করে। কিন্তু আগস্টের মধ্যেই দেশটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে বিজয় দাবি করে।
তথ্য কেবলই লুকোতে বা গোপন করতে চায় এমন দেশ হিসেবে পরিচিত উত্তর কোরিয়া কখনোই নিশ্চিত করেনি যে সেখানে ঠিক কতজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। কারণ পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে স্পষ্টতই ব্যাপকভাবে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষা চালানোর কোনও ব্যবস্থাই নেই।
এর পরিবর্তে কোভিড প্রাদুর্ভাবের সময় উত্তর কোরিয়া জ্বরে আক্রান্ত রোগীর দৈনিক সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু গত বছরের ২৯ জুলাই থেকে এ ধরনের জ্বর সংক্রমণের কোনও তথ্যই জানানো হয়নি।
রয়টার্স বলছে, উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া ফ্লু-সহ শ্বাসযন্ত্রের রোগগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মহামারি বিরোধী নানা পদক্ষেপের বিষয়ে রিপোর্ট করা অব্যাহত রাখলেও লকডাউন আরোপের বিষয়ে এখনও কোনও রিপোর্ট প্রকাশ করেনি।
মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম দ্য কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী কায়েসোং শহরে প্রচারণা জোরদার করা হয়েছে ‘যাতে শ্রমজীবী সকল মানুষ তাদের পেশায় এবং জীবনে স্বেচ্ছায় মহামারি-বিরোধী নিয়মগুলো মেনে চলেন।’
টিএম