যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় যে প্রতিক্রিয়া জানাল ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্র
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে ৩৬ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি সেনাদের নির্দেশ দিয়েছেন, ৬ এবং ৭ জানুয়ারি যেন তারা হামলা চালানো থেকে বিরত থাকেন।
রাশিয়া এবং ইউক্রেনে বসবাসরত অর্থডক্সপন্থী খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা যেন নির্বিঘ্নে বড়দিন পালন করতে পারেন সেটি নিশ্চিতেই এ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
তবে পুতিনের যুদ্ধবিরতি-কে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিরি জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোদোলিয়াক এটিকে ‘ভণ্ডামি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতির প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘পুতিন কি বলে এ নিয়ে মন্তব্য করতে আমি অনিচ্ছুক। আমার কাছে এটি বিষ্ময়কর লাগে। ২৫ ডিসেম্বর নতুন বছরের আগেও হাসপাতাল এবং চার্চে বোমা হামলা চালাতে পুতিন প্রস্তুত ছিলেন। এখন যুদ্ধবিরতির নামে পুতিন কিছু অক্সিজেন পাওয়ার চেষ্টা করছেন ‘
জেলেনস্কির প্রভাবশালী উপদেষ্টা মাইখাইলো পোদোলিয়াক অপর একটি টুইটে বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেন থেকে তাদের সব সেনাকে সরিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে না। এছাড়া পুতিনের ঘোষণাকে ‘প্রোপাগান্ডা’ এবং ‘নিম্ন কর্ম’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, পুতিন ইচ্ছে করে এ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন যেন পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে এটি মানতে বাধ্য করে। কারণ রাশিয়া দাবি করছে এটি একটি ‘মানবিক’ যুদ্ধবিরতি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুতিন মূলত এখন সাধারণ রাশিয়ান নাগরিকদের বোঝাবেন যে, রাশিয়ার সেনারা ভালো। ইউক্রেন এবং পশ্চিমারা রাশিয়াকে হুমকির মুখে ফেলছে।
এছাড়া তিনি আরও বোঝাবেন, ইউক্রেন হলো একটি চক্রান্তকারী দেশ। তারা ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে সম্মান জানায় না এবং শান্তির জন্য তাদের কোনো আকাঙ্খা নেই।
এদিকে ইউক্রেনে রোমান ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টান্টপন্থী খ্রিস্টানরা সাধারণত ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন পালন করেন। অন্যদিকে অর্থডক্সপন্থী খ্রিস্টানরা ৭ জানুয়ারি বড়দিন পালন করেন। ইউক্রেনে এ দুইদিনই সরকারি ছুটি থাকে। রাশিয়ারও বেশিরভাগ মানুষ ৭ জানুয়ারি বড়দিন উদযাপন করেন।
সূত্র: বিবিসি, সিএনএন
এমটিআই