মাস্কের কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মালিকানাধীন কোম্পানি নিউরালিংকের বিরুদ্ধে প্রাণীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি পর্যায়ে। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের মহাপরিদর্শকের দপ্তর এই তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে।
নিউরালিংক মূলত মস্তিষ্কের ভেতর যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ (চিপ) স্থাপনে বিশেষায়িত একটি কোম্পানি। মার্কিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার নামে বিভিন্ন প্রাণীকে ভয়াবহ শারীরিক যন্ত্রণা দেওয়া সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ উঠেছে নিউরালিংকের বিরুদ্ধে।
এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে মার্কিন প্রাণী কল্যাণ আইনের আওতায় এই তদন্ত শুরু করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মহাপরিদর্শকের দপ্তর।
গত ২ ডিসেম্বর মাস্ক ঘোষণা দেন তার মালিকানাধীন কোম্পানি নিউরালিংক বিশেষ এক ধরণের যন্ত্র (চিপ) তৈরি করেছে। এই চিপ মস্তিষ্কে বসালে মানুষ কম্পিউটারের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এফডিএ) অনুমোদন দিলে দ্রুত স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে ট্রায়াল পরীক্ষা শুরু করবেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন : মানব মস্তিষ্কে যন্ত্র বসালে কী হয়, পরীক্ষা করতে চান মাস্ক
কিন্তু মানব মস্তিষ্কে চিপ বসানোর এই প্রকল্প নেওয়ার আগে আরও কিছু প্রকল্প নিয়েছিল নিউরালিংক। সেসব প্রকল্পে ব্যবহার করা হয়েছিল বিভিন্ন প্রাণীকে।
নিউরালিংকের সাবেক ও বর্তমান অন্তত ২০ জন কর্মী একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত চারটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি এবং অত্যন্ত অগোছালো ও অপরিকল্পিতভাবে এই পরীক্ষাগুলো পরিচালনা করায় প্রাণ গেছে অন্তত ৮৬টি শূকর ও ২টি বানরের।
‘মূলত কর্মীদের অদক্ষতা ও তাদের ওপর কোম্পানি কর্তৃপক্ষের বিপুল পরিমাণ চাপ দেওয়ার কারণেই ঘটেছে এসব মৃত্যু,’ বলেছেন নিউরালিংকের কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান কর্মী।
নিউরালিংকের কয়েকটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ঠিক কত সংখ্যক ও কোন কোন প্রাণী ব্যবহার করা হয়েছে, সে সম্পর্কে কোম্পানির রেকর্ডগ্রুপে স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই।
ঠিক কোন অভিযোগ বা সূত্রের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি মন্ত্রণালয় তদন্ত শুরু করেছে, তা ও স্পষ্ট নয়। ধারণা করা হচ্ছে, নিউরালিংকের সাবেক কর্মীদের অভিযোগ আমলে নিয়েই শুরু হয়েছে এই তদন্ত।
এসএমডব্লিউ