ইস্পাত নয়, নতুন আইফোন ১৫তে ব্যবহার করা হয়েছে টাইটেনিয়াম
আইফোন সিরিজের সর্বশেষ যে ফোনটি বাজারে আসার অপেক্ষায় রয়েছে, সেই আইফোন ১৫ আলট্রা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে টাইটেনিয়াম নামের একটি ধাতু। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে এ তথ্য।
২০১৭ সাল থেকে আইফোন তৈরিতে মরিচারোধী ইস্পাত (স্টেইনলেস স্টিল) ব্যবহার করে আসছে ফোনটির প্রস্তুতকারী কোম্পানি অ্যাপল। মরিচারোধী ইস্পাত দিয়ে প্রথম যে ফোনটি তৈরি করা হয়েছিল, সেটির নাম আইফোন ১০। তারপর থেকে এই সিরিজের সব ফোন তৈরি করা হয়েছে এই ধাতুতে। এই প্রথম ইস্পাতের পরিবর্তে ফোন তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে টাইটেনিয়াম।
অ্যাপলের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত ফোনের ওজন কমানো এবং একে আরও টেকসই করতেই টাইটেনিয়াম ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ধাতু দিয়ে ফোন তৈরি করা হলে সেটির ওজন ইস্পাতের তুলনায় ৪০ শতাংশ কমে যাবে।
এছাড়া ইস্পাতের তুলনায় টাইটেনিয়াম অনেক দৃঢ় ও টেকসই। ফলে, সিরিজের পুরনো সব ফোনের তুলনায় আইফোন ১৫ আলট্রা যে অনেক টেকসই হবে— তা সহজেই ধরে নেওয়া যায়।
কিন্তু প্রশ্ন হলো দাম নিয়ে। টাইটেনিয়াম যেমন ইস্পাতের চেয়ে টেকসই ধাতু, তেমনি দামিও। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি ইস্পাতের দাম যেখানে এক থেকে দেড় ডলার, সেখানে প্রতি কেজি টাইটেনিয়ামের দাম ৩৫ থেকে ৫০ ডলার।
সুতরাং, আইফোন সিরিজের পুরোনো ফোনগুলোর তুলনায় আইফোন ১৫ আলট্রা তৈরিতে উৎপাদন খরচ স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যাবে; আর বাড়তি এই উৎপাদন খরচ পুষিয়ে নিতে ফোনের দামও বাড়াতে হবে।
কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে যে মন্দা পরিস্থিতি চলছে, তাতে ফোনের দাম বৃদ্ধি করলে লোকসান গুণতে হতে পারে অ্যাপলকে।
এ সম্পর্কে অবশ্য অ্যাপলের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত কিছু বলা হয়নি।
বিশ্বের সবচেয়ে দামী ও জনপ্রিয় মোবাইল ফোন সিরিজ আইফোন প্রথম বাজারে আসে ২০০৭ সালে। অ্যাপলের সাবেক প্রধান নির্বাহী স্টিফ জবস ওই বছর ৯ জানুয়ারি প্রথম আইফোন তৈরির ঘোষণা দেন এবং সেটির সম্ভাব্য নকশা প্রকাশ করেন। তারপর ২০০৭ সালের ২৯ জুন এই সিরিজের প্রথম ফোন আইফোন ১ বাজারে আসে।
এসএমডব্লিউ