ভারতের কাছ থেকে মশারি কিনছে পাকিস্তান
পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে, সেই সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গুর মতো মশাবাহিত রোগ। এসব রোগ থেকে জনগণকে সুরক্ষা দিতে ভারতের কাছ থেকে ৬২ লাখ মশারি কিনছে পাকিস্তান।
গত চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ বর্ষণ ও তার ফলে উত্তরাঞ্চলের পার্বত্য হিমবাহ গলে চলতি বছর নজিরবিহীন বন্যা দেখা দিয়েছে পাকিস্তানে। দেশটির প্রায় অর্ধেক এলাকা দিনের পর দিন ডুবে ছিল বন্যার পানিতে।
বন্যার পানি বর্তমানে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে, কিন্তু এখনও অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা দূর হয়নি এবং এই ভয়াবহ বন্যার প্রভাবে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ছে পানি ও মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ।
পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা দেশটির সম্প্রচার সংবাদমাধ্যম জিইও টিভিকে বলেন, ‘গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠছে ম্যালেরিয়া। খুবই দ্রুতহারে এই রোগটি ছড়িয়ে পড়ছে এবং বর্তমানে দেশের বন্যাকবলিত ৩২টি জেলার হাজার হাজার মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত। এই রোগীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশুও আছে।’
এই ৩২ জেলার সবগুলোই পাকিস্তানের সিন্ধু, পাঞ্জাব ও বেলুচিস্তান প্রদেশে। এগুলোর মধ্যে ২৬টি জেলার অবস্থা অপেক্ষাকৃত বেশি খারাপ বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
মশারি আমদানির অনুমতি চেয়ে ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন মিললে আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যেই পাঞ্জাব রাজ্যের ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে পাকিস্তানে যাবে ৬২ লাখ মশারি।
পাকিস্তানের বন্যাদুর্গতদের চিকিৎসা সহায়তা দিতে বিশেষ বৈশ্বিক তহবিল গঠন করেছে জাতিসংঘের অন্যতম অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সেই তহবিল থেকেই মশারি ক্রয় বাবদ অর্থ পরিশোধ করা হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জিইও টিভিকে বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (মশারি ক্রয়ের) অর্থ প্রদানে রাজি হয়েছে। এখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন মিললে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আমরা ভারত থেকে মশারি আনতে পারব। আশা করছি শিগগিরই অনুমোদন দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।’
এসএমডব্লিউ