সৌদি-আমিরাতকে শায়েস্তা করতে চান মার্কিন আইনপ্রণেতারা
তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সেনা ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রত্যাহারে মার্কিন কংগ্রেসে একটি বিল উত্থাপন করেছেন দেশটির তিন আইনপ্রণেতা।
এর আগে, বুধবার তেল-উৎপাদনকারী শীর্ষ দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। ওপেক প্লাসের তেল উৎপাদান কমানোর এই হার বৈশ্বিক সরবরাহের প্রায় ২ শতাংশের সমান।
ইউক্রেন সংঘাত ঘিরে রাশিয়ার তেল বাণিজ্য রোধ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে পশ্চিমা দেশগুলো বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওপেক প্লাস।
বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসের তিন সদস্য ডেমোক্র্যাট দলীয় সিন ক্যাস্টেন, টম ম্যালিনোস্কি এবং সুসান ওয়াইল্ড এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।
এতে তারা বলেছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বান সত্ত্বেও সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের তেলের উৎপাদন ব্যাপক পরিমাণে হ্রাসের সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি শত্রুতামূলক কাজ। একই সঙ্গে সৌদি এবং আমিরাতের তেল উৎপাদন হ্রাসের এই সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এই দুই দেশ যে রাশিয়ার পাশে থাকার পথ বেছে নিয়েছে তা পরিষ্কার।
ডেমোক্র্যাট দলীয় এই তিন আইনপ্রণেতার যুক্তি, ওপেক প্লাসের তেলের উৎপাদন কমিয়ে মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত রাশিয়ার তেল রপ্তানির আয় বাড়ানোর জন্য করা হয়েছে। তারা বলেছেন, উপসাগরীয় দেশগুলো যদি ওয়াশিংটনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, তাহলে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পরাজয় না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কাজ করার জন্য ‘বৃহত্তর সদিচ্ছা’ দেখাতে হবে।
হোয়াইট হাউসের মতে, ওপেক প্লাসের তেলের উৎপাদন হ্রাসের অদূরদর্শী সিদ্ধান্তে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হতাশ। মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, ইরান, রাশিয়া, নাইজেরিয়া, ভেনিজুয়েলা এবং মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বেশিরভাগ তেল সমৃদ্ধ দেশ ওপেক প্লাসের সদস্য। বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের মধ্যে তেলের দাম বৃদ্ধিকে অস্ত্র বানানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন সৌদি জ্বালানি মন্ত্রী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
মার্কিন আইনপ্রণেতারা বলেছেন, বর্তমানে সৌদি আরবে ৩ হাজার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় ২ হাজার মার্কিন সৈন্য রয়েছে। এছাড়াও এই দুই দেশে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জামও ব্যবহার করছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। মধ্যপ্রাচ্যে ওয়াশিংটনের দীর্ঘদিনের অন্যতম প্রধান মিত্র রিয়াদ এবং আবুধাবি।
সূত্র: আরটি।
এসএস