বিশ্বজুড়ে বেড়েছে মৃত্যু, শনাক্ত পৌনে ২ লাখের নিচে
চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ছয়শোর বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমেছে পৌনে ২ লাখের নিচে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে তাইওয়ানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির শীর্ষে উঠে এসেছে রাশিয়া। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ফ্রান্স ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬২ কোটি ৩৬ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৫ লাখ ৫১ হাজার।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬১৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ লাখ ৫১ হাজার ৬৭২ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৬৭ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ কোটি ৩৬ লাখ ৬৬ হাজার ৭৮০ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে তাইওয়ানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৪৩১ জন এবং মারা গেছেন ৩৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬৫ লাখ ৮১ হাজার ১১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ হাজার ২০১ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৪ হাজার ১৫৮ জন এবং মারা গেছেন ৯১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১০ লাখ ৭৩ হাজার ১৮৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫৫৯ জনের।
ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৬৯০ জন এবং মারা গেছেন ৬২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৫০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৫ হাজার ১৯৮ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৬১৬ জন এবং মারা গেছেন ৫৩ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৮২ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৪ জন মারা গেছেন।
জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ১৬৭ জন এবং মারা গেছেন ৫৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ৯৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৫ হাজার ১৮ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৬৭ জন এবং মারা গেছেন ২৯ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৫ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ২৭৮ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ৫০৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৪২১ জনের।
ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৩১৬ জন এবং মারা গেছেন ৪৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২৫ লাখ ৪২ হাজার ৫৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৯৭ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২০ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ১৫০ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
টিএম