হজ-ওমরাহ ই-সার্ভিস অ্যাপের নাম পরিবর্তন করল সৌদি
হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের তথ্য পরিষেবা প্রদানে ‘ইতমারনা’ নামের যে মোবাইল অ্যাপ চালু করেছিল সৌদি সরকার, সেটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নুসুক’। নাম পরিবর্তনের পাশাপাশি যাত্রী পরিষেবা বাড়াতে অ্যাপটি হালনাগাদও করা হচ্ছে।
সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. তাওফিক আল রাবিয়াহ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পরে মন্ত্রণালয়ের হজ ও ওমরাহ পরিষেবা বিভাগের উপদেষ্টা আহমেদ সালেহ হালাবি আরব নিউজকে বলেন, ‘হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য তথ্য পরিষেবা সহজ করে তুলতে গত কয়েক বছর ধরেই আমরা ই-সার্ভিস ব্যবহার করছি। তবে নুসুক অ্যাপটির হালনাগাদের কাজ শেষ হলে হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য দারুন একটি ব্যাপার হবে।’
‘কারণ বর্তমানে নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে হজ ও ওমরাহযাত্রীরা কেবল ভিসা সম্পর্কিত সেবা নিতে পারেন; কিন্তু এটি হালনাগাদের কাজ শেষ হলে কেবল ভিসা নয়, সৌদি আরবে আসা-যাওয়ার ফ্লাইট ও এখানে আসার পর হোটেলও বুক করতে পারবেন যাত্রীরা।’
সৌদি সরকারের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই নুসুক অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে এবং শিগগিরই এটির হালনাগাদকরণ শেষ হবে উল্লেখ করে হালাবি বলেন, ‘আমরা চাই, বিদেশ থেকে আগত যাত্রীরা হজ ও ওমরাহ পালনের পাশাপাশি সৌদি আরবের সংস্কৃতি সম্পর্কেও জানুন। মক্কা ও মদিনার দুই পবিত্র মসজিদ ঘিরে যে সভ্যতা গত দেড় হাজার বছরে গড়ে উঠেছে, এবং প্রাচীন এই সভ্যতার ধারক-বাহক এই দেশটির চারদিকে যেসব ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে, তা তারা উপভোগ করুন।’
‘এই ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দিয়ে নুসুক অ্যাপটি হালনাগাদ করা হচ্ছে। বিভিন্ন সার্ভিস প্যাকেজ সেখানে থাকবে। হজ ও ওমরাহযাত্রীরা নিজের পছন্দ অনুযায়ী যে কোনো একটি প্যাকেজ বেছে নিতে পারবেন।’
আরব নিউজকে হালাবি আরও জানান, আগামী ২০৩০ সালের মদ্যে হজ ও ওমরাহযাত্রীদের পরিষেবা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েছে সৌদি সরকার। ‘নুসুক’ অ্যাপের হালনাগাদকরণ সেই লক্ষ্যের অংশ।
বর্তমানে সৌদি আরবে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানিও বিদেশি হজ ও ওমরাহযাত্রীদের বিভিন্ন পরিষেবা দিয়ে থাকে। তেমনেই একটি কোম্পানির মালিক আহমেদ বাজাইফের আরব নিউজকে বলেন, ‘সৌদি আরবের নাগরিক, স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্ত ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর প্রতি সৌদি আরব প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তার সর্বশেষ প্রমাণ নুসুক।’
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে বিদেশিদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করেছিল সৌদি। হজ ও ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক বিদেশী যাত্রীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এমনকি সৌদি নাগরিকদেরও হজ ও ওমরাহ পালনে নিরুৎসাহিত করে সরকার। খুব অল্প সংখ্যক সৌদি নাগরিক সরকারের বিশেষ অনুমতিতে সেবার হজ পালন করতে পেরেছিলেন।
পরের বছর ২০২১ সালে নিজ দেশের নাগরিকদের হজ ও ওমরাহ পালনের অনুমতি দেয় সৌদি সরকার। তবে এক্ষেত্রে শর্ত দেওয়া হয়, যারা সরকারের অনুমোদিত যেকোনো করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন, কেবল তারাই হজ ও ওমরাহ করতে পারবেন।
চলতি বছর হজ ও ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক বিদেশি যাত্রীদের জন্য সীমান্ত খোলার ঘোষণা দেয় সৌদি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, যেসব বিদেশি যাত্রী করোনা টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন—কেবল তাদেরকেই স্বাগত জানাবে সৌদি আরব।
এসএমডব্লিউ