নজিরবিহীন বন্যায় পাকিস্তানে নিহত ৯৮২, ক্ষতিগ্রস্ত ৩ কোটিরও বেশি
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া অস্বাভাবিক প্রবল বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট নজিরবিহীন বন্যায় পাকিস্তানের ৪টি প্রদেশের ৩ টিতে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৯৮২ জন, আহত হয়েছেন ১ হাজার ৪৫৬ জন এবং অন্তত ৬ লাখ ৮০ হাজার বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।
পাঞ্জাব, খাইবার-পাখতুনওয়া, সিন্ধু ও বেলুচিস্তান— পাকিস্তানের এই চার প্রদেশের মধ্যে একমাত্র পাঞ্জাব ব্যতীত বাকি তিন প্রদেশে বর্ষণ ও বন্যাজনিত কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে খাইবার-পাখতুনওয়ার তুলনায় সিন্ধু ও বেলুচিস্তানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি।
পাকিস্তান সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের বরাত দিয়ে দেশটির জাতীয় দৈনিক ডন শনিবার এক প্রতিবেদেনে জানিয়েছে, বর্তমানে পাকিস্তানের অর্ধেকেরও বেশি অংশ বন্যার পানির নিচে এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা অন্তত ৩ কোটি ৩০ লাখ। তাদের মধ্যে অন্তত ৫৭ লাখ খাদ্য ও আশ্রয় হারিয়ে সম্পূর্ণ নিঃস্ব হয়ে গেছেন।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়ার পর শনিবারও খাইবার পাখতুনওয়া, বেলুচিস্তান ও সিন্ধু প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি ও বন্যায় এই তিন প্রদেশের অনেক স্থানের সড়ক ও সেতু ভেঙে পড়ায় যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার কারণে বিপুল পরিমাণ ফসল ধ্বংস হয়েছে এই তিন প্রদেশে, মারা গেছে অগণিত গবাদি পশু।
— Chaudhary Parvez (@ChaudharyParvez) August 26, 2022
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খাইবার পাখতুনওয়ার তুলনায় সিন্ধু ও বেলুচিস্তানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি। বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা গত ৩৬ ঘণ্টা ধরে বন্যার পানির নিচে আছে বলে জানিয়েছে ডন।
নজিরবিহীন এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে ইতোমধ্যে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে পাকিস্তানের সরকার। জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ তাৎক্ষণিকভাবে ৩০ লাখ ডলার বরাদ্দ করেছে পাকিস্তানের জন্য।
উদ্বেগের ব্যাপার হলো, শিগগিরই এই দুর্যোগ শেষ হচ্ছে না পাকিস্তানে। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থেমে থেমে অব্যাহত থাকবে বৃষ্টিপাত।
এসএমডব্লিউ