সোমালিয়ায় হোটেলে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত অন্তত ১২
সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে একটি হোটেলে সন্ত্রাসী হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় আল শাবাব জঙ্গিরা সেখানকার একটি হোটেলে হামলা চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
আফ্রিকার এই দেশটির একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শনিবার (২০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। রাজধানী মোগাদিসুর ওই হোটেলটি এখনও জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং সোমালি কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা শুক্রবার সন্ধ্যায় সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে অবস্থিত হায়াত হোটেলে দু’টি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর গুলিবর্ষণ করতে করতে হোটেলটিতে প্রবেশ করে এবং সেটি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
রয়টার্স বলছে, সোমালিয়ার ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা তার নিজেকে মোহাম্মদ বলে পরিচয় দিয়ে জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত আমরা ১২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছি। নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। রয়টার্সকে তিনি আরও বলেন, অপারেশনটি শেষপর্যায়ে থাকলেও সেটি এখনও চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সরকারি বাহিনী জঙ্গিদের হাত থেকে হোটেলের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এসময়ও সেখানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তারা বলেছে, সংঘর্ষে হোটেলের বড় অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে।
আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী আল শাবাব এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ।
স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘হোটেল হায়াতকে লক্ষ্য করে দু’টি গাড়ি বোমা হামলা হয়। একটি বিস্ফোরণ হোটেলের গেটে আঘাত করে। জঙ্গিরা হোটেলের ভেতরে রয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’
অন্যদিকে নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তাও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, হায়াত হলো মোগাদিসুর একটি জনপ্রিয় স্থান, যেখানে অন্যান্য বেশ কয়েকটি হোটেল রয়েছে। সব সময় এই স্থানটিতে দেশি, বিদেশি সরকারি কর্মকর্তাদের ভিড় লেগে থাকে।
উল্লেখ্য, সোমালিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে এক দশকের বেশি সময় ধরে লড়াই করছে জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার অনুসারি আল-শাবাব। সোমালিয়ায় ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায় এই জঙ্গিগোষ্ঠী।
এ কারণে আল-শাবাবের সদস্যরা প্রায়ই দেশটির সামরিক ঘাঁটি, হোটেল ও ব্যস্ত সড়কে বেসামরিক নাগরিক এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বোমা ও বন্দুক হামলা চালিয়ে থাকে।
টিএম