ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া থেকে ২টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া। প্রতিবেশীদের ‘ভয় দেখাতেই’ এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আজ (১৭ আগস্ট) ভোরবেলায় উত্তর কোরিয়ার সাউথ পিয়োঙ্গান প্রদেশের অনচন শহর থেকে পশ্চিম সাগরের দিকে ২টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। ছোড়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী বিষয়টি শনাক্ত করতে পেরেছে।’
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া পশ্চিম সাগরে বর্তমানে সামরিক মহড়া করছে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ বাহিনী। ব্যাপারটিতে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্রকে ‘প্রধান বৈরী’ হিসেবে ঘোষণা করা উত্তর কোরিয়া।
সাগরের যে এলাকায় মহড়া চলছে, সেদিকে তাগ করেই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘মহড়া স্থলে (ক্ষেপণাস্ত্র) আঘাত করেনি। তবে মহড়া থেকে ঠিক কতদূরে সেগুলো পড়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যৌথ বাহিনী বিষয়টি দেখছে।’
উত্তর কোরিয়া থেকে অবশ্য ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। দেশটির সরকারি বার্তাসংস্থা কেসিএনএতেও এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত বিভিন্ন বছরের তুলনায় চলতি বছর সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেটের মহড়া করলেও জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোনো ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেনি দেশটি।
সর্বশেষ ১০ জুলাই সমরাস্ত্র মহড়া করেছিল উত্তর কোরিয়া, সেখানে মূলত ব্যবহার করা হয়েছিল বিভিন্ন পাল্লার মাল্টিপল রকেট লাঞ্চার।
আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়া বরাবরই তার সমরাস্ত্র মহড়ার জন্য আলোচনায় থাকে। লাগামহীনভাবে সমরাস্ত্র প্রস্তুত ও মহড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের পাশাপাশি জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে উত্তর কোরিয়ার ওপর।
২০১৬ সালে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে উত্তর কোরিয়া। তবে আন্তর্জাতিক সব নিষেধাজ্ঞা উপক্ষা করে নিয়মিতই সমরাস্ত্র মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।
এসএমডব্লিউ