স্বামীকে ‘সুখী’ রাখতে তিন তরুণীকে ভাড়া করলেন স্ত্রী
স্বামীকে খুশি রাখতে তিনজন ‘সুন্দরী এবং শিক্ষিত’ সেবিকাকে নিয়োগ করতে চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন থাইল্যান্ডের এক নারী। ৪৪ বছর বয়সী পাতথিমা চ্যামন্যান নামের ওই নারী এক ভিডিওতে সেবিকাদের কী ধরনের বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে, তা বর্ণনা করেছেন। এই ভিডিও প্রকাশের পর তিনি প্রাথমিকভাবে দু’জনকে বাছাইও করেছেন বলে জানিয়েছেন।
ব্যাংককের নিজের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ভিডিওতে ওই নারী বলেন, স্বামীর সঙ্গে ঘুমাতে পারেন না তিনি। এতে নিজেকে তার খারাপ স্ত্রী মনে হয়।
কলেজ ডিপ্লোমা করা আছে এমন তরুণী, অবিবাহিত মেয়েদের ভিডিওতে সাড়া দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ওই নারী বলেছেন, তার স্বামীর সেবায় নিয়োজিত তরুণীদের ৩৪২ পাউন্ড (বাংলাদেশি ৩৯ হাজার ৩২৫ টাকা) মাসিক বেতন দেবেন।
আরও পড়ুন: মাতাল যুবককে কফিনে ভরিয়ে মাটিচাপা!
পাতথিমা চ্যামন্যান বলেছেন, আমার স্বামী কঠোর পরিশ্রম করে এবং আমি শুধু চাই সে সুখী হোক। বাড়িতে আমার সাথে বন্ধুরাও থাকবে। তবে চাকরিতে শর্তও জুড়ে দিয়েছেন তিনি। চ্যানম্যান বলেছেন, চাকরি প্রার্থী তরুণীর কোনও সন্তান থাকা যাবে না। কারণ এটি বোঝা হয়ে যাবে। তাদের সুন্দরী এবং যোগাযোগেও পারদর্শী হতে হবে।
‘আমার স্বামীকে শারীরিকভাবে খুশি করতে পারাও তরুণীদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হবে। কারণ সে একজন পুরুষ এবং তার শারীরিক চাহিদাও আছে। তার এখনও বেশ শারীরিক সক্ষমতা ও প্রচুর শক্তি রয়েছে।’
থাইল্যান্ডের উপকূলীয় প্রদেশ সামুত প্রাকানে এই দম্পতির পারিবারিক ব্যবসা আছে। পাতথিমা চ্যানম্যান বলেছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছেন। এই কারণে পারিবারিক কাজে অতিরিক্ত সহায়তা করবে এমন কাউকে খুঁজছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমার স্বামীর জন্য সেবিকা খুঁজছি। কারণ আমি শারীরিকভাবে অনেক চড়াই-উৎড়াই পার করছি। আমার দীর্ঘদিনের মানসিক বিষণ্নতা আছে। আমি ভালোভাবে স্বামীর যত্ন নিতে পারছি না বলে মনে হয়।
আরও পড়ুন: মুরগির এক ডিম বিক্রি হলো ৪৮ হাজার টাকায়, যা মেলে শত কোটিতে একটি
‘আমার স্বামীর সাথে ঘুমাই না এবং এটি আমাকে মনে করিয়ে দেয় যে, আমি সম্ভবত একজন ভালো স্ত্রী নই।’
তার স্বামী পাত্তাগর্ন বলেছেন, গত ৩ জুলাই অনলাইনে এই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তে দেখে অনেকটা অবাক হয়ে যান তিনি। একইসঙ্গে স্ত্রীর এই ধারণার সাথে দ্বিমত নন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
‘আমার যত্ন নেওয়ার জন্য সে কাউকে খুঁজে পেতে চায় বলে আমাকে জানিয়েছে চ্যানম্যান। তরুণীরাও আমাদের পরিবারের সদস্যদের মতো সুবিধা ভোগ এবং আমাদের কোম্পানিতে কাজ করবে। তবে বিষয়টি জানতে পেরে আমি হতবাক হয়েছি।’
পাত্তাগর্ন বলেন, ‘আমি কখনই কোনও সেবিকা পেতে চাইনি। কিন্তু আমার স্ত্রী যেহেতু প্রস্তাব দিচ্ছে, আমি এটি প্রত্যাখ্যান করব না।
সূত্র: দ্য মিরর।
এসএস