পার্থ পেয়েছিলেন না, অনুব্রতও ফোনে পাননি মমতাকে
প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এবার অনুব্রত মণ্ডল। শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর বেশ বিব্রতকর অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে যেমন মমতার অবস্থার পরিষ্কার ছিল, অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে এখনও অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলকে যে আলাদা করছেন না, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অনুব্রত মন্ডলকে বৃহস্পতিবার গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনুব্রতর শক্তিশালী ঘাঁটি বীরভূম থেকে তুলে নেওয়ার আগে তৃণমূলের এই নেতাকে বাড়িতে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআইয়ের কর্মকর্তারা।
এ পরিস্থিতির মধ্যেই আবার বাড়তি সঙ্কট যোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের আরেক প্রভাবশালী নেতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে তিনি দল ছাড়ার কথা জানিয়েছেন।
সবমিলিয়ে সর্বভারতীয় রাজনীতিকে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে মমতার তৃণমূল।
গত ২২ জুলাই গভীর রাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশির পরে তাকে গ্রেপ্তার করে ইডি। সেই সময় ইডির কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তিনি যে কাউকে ফোন করতে পারেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী পরে জানা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ফোন ধরেননি। বৃহস্পতিবার বোলপুরের নিচু পট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই।
সিবিআই-এর জালে পড়ার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ফোন ধরেননি।
এনএফ