সৌদি-আমিরাতের কাছে ৫০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করছে আমেরিকা
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) কাছে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ আগস্ট) এই তথ্য জানায় দেশটি।
বুধবার (৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি সৌদি আরবে সফরে যান এবং সেখানে দুই দেশের নেতাদের সাথে সাক্ষাতের দুই সপ্তাহ পর অস্ত্র বিক্রির এই অনুমোদন ঘোষণা করল ওয়াশিংটন।
মধ্যপ্রাচ্যে বাইডেনের সাম্প্রতিক ওই সফরকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশ দু’টির বিচ্ছিন্ন সম্পর্ক জোরদার করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে, কারণ উভয় দেশই ইরানের কাছ থেকে একটি উচ্চতর হুমকির মধ্যে রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৩০০টি প্যাট্রিয়ট এমআইএম-১০৪ই মিসাইল সিস্টেম কিনবে সৌদি আরব। এই মিসাইল সিস্টেমের মাধ্যমে ধেয়ে আসা দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা যাবে। একইসঙ্গে শত্রুপক্ষের আক্রমণকারী যুদ্ধবিমানও মাটিতে নামাতে ব্যবহার করা যেতে পারে এই মিসাইল সিস্টেমটি।
পররাষ্ট্র দপ্তর আরও জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রসহ এর সঙ্গে সংযুক্ত অন্যান্য সরঞ্জাম, প্রশিক্ষণ এবং যন্ত্রাংশের মূল্য ৩০৫ কোটি মার্কিন ডলার।
সম্প্রতি ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের কাছ থেকে দফায় দফায় রকেট হামলার হুমকির সম্মুখীন হয়েছে সৌদি আরব। হুথি বিদ্রোহীরা মূলত ইরানি সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, ‘হুথি বিদ্রোহীদের আন্তঃসীমান্ত মানবহীন বিমান ব্যবস্থার মাধ্যমে হামলার শিকার হওয়ার হুমকিতে রয়েছে সৌদি আরব। আর তাই সৌদি আরবের বেসামরিক বিভিন্ন স্থাপনা এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুখতে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ব্যবহৃত হবে।’
পৃথকভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) কাছে ২২৫ কোটি মার্কিন ডলারের থাড (THAAD) সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র। এই মিসাইল সিস্টেমটি শক্তিশালী ও ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হিসেবে পরিচিত। এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ট্রাকের ওপর স্থাপন করা যায় এবং আক্রমণের জন্য ধেয়ে আসা যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্রকে মুহূর্তে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম এটি।
সৌদি আরবের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতও সম্প্রতি হুথি বিদ্রোহীদের রকেট হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, ‘প্রস্তাবিত বিক্রয় এই অঞ্চলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি মোকাবিলায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং মার্কিন বাহিনীর ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেবে।’
টিএম