সোমবার ইউক্রেন ছাড়তে পারে শস্যবাহী প্রথম জাহাজ
যুদ্ধের কারণে গত পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে বিশ্বজুড়ে বন্ধ থাকা শস্য রপ্তানি পুনরায় শুরু করছে ইউক্রেন। রোববার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সোমবার ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানিকারী প্রথম জাহাজের বন্দর ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহীম কালিন বলেছেন, যদি সব ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়, তাহলে আগামীকাল (সোমবার) প্রথম জাহাজটি বন্দর ছেড়ে যাওয়ার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে...। আমরা পরের দিন অন্যান্য জাহাজগুলোকে বন্দর ছেড়ে যেতে দেখব।
সম্প্রচারমাধ্যম ক্যানাল ৭-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ইস্তাম্বুলের যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র (জেসিসি) সম্ভবত খুব শিগগিরই রপ্তানি রুটের চূড়ান্ত কাজ শেষ করবে।
গত ২২ জুলাই জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় কিয়েভ এবং মস্কোর কর্মকর্তারা ইউক্রেনে আটকা আড়াই কোটি টন গম ও ভুট্টা যাতে বিশ্ববাজারে সরবরাহ করা যায়, সেলক্ষ্যে তুরস্কে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইউক্রেনে আটকে থাকা শস্য বহনকারী বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ যেন নিরাপদে কৃষ্ণসাগরে চলাচল করতে পারে, সেজন্য তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় একটি যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র খোলা হয়। সেই কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে জাতিসংঘ, রাশিয়া ও তুরস্ক।
কূটনীতিকদের মতে, চুক্তিতে ট্রানজিটে থাকাকালীন কোনও চালান অথবা বন্দরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে না বলে সম্মত হয়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে, ইউক্রেন মাইন পেতে রাখা সাগর দিয়ে কার্গো জাহাজ পরিবহনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বহুল আকাঙ্ক্ষিত এই চুক্তিতে পৌঁছাতে সময়ে লেগেছে প্রায় দুই মাস, আর এই চুক্তির স্থায়িত্ব হবে ১২০ দিন।
বিশ্বের মোট খাদ্যশস্যের ৩০ শতাংশ যোগান আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় কৃষ্ণ সাগর তীরের দেশ দু’টি থেকে গম ও ভুট্টা জাতীয় শস্যের রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে গম ও ভুট্টার দাম। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ থেকে এপ্রিল— এক মাসের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ।
সূত্র: রয়টার্স।
এসএস