অর্পিতার ফ্ল্যাটের শৌচাগারেও টাকা, উদ্ধার ২৯ কোটি
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখার্জির বেলঘরিয়ায় রথতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ২৯ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, উদ্ধার করা হয়েছে ৬ কেজির বেশি সোনাও। ১৮ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করে ইডি।
সূত্রের খবর, ওয়ারড্রবে সবই পাঁচশ টাকা এবং দুই হাজার টাকার নোট। রাতভর গণনা শেষে বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ভোরে ১০টি ট্রাঙ্ক নিয়ে যাওয়া হয় ফ্ল্যাটে। বৃহস্পতিবার সকালে নামিয়ে আনা হয় ট্রাঙ্কগুলো। ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ট্রাক ভর্তি করে সেই টাকা নিয়ে যান ইডি কর্মকর্তারা।
সাক্ষী হিসেবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত আবাসন কমিটির সম্পাদক অঙ্কিত চুরারিয়া জানান, বেশকিছু সম্পত্তির দলিল, সম্পত্তি সংক্রান্ত নথিপত্র এবং কয়েক হাজার টাকার বাতিল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও ইডির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না দেওয়া পর্যন্ত কোনো তথ্যই সমর্থনযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন: অর্পিতার আরও এক ফ্ল্যাটে মিলল ২০ কোটি রুপি
দেশটির সংবাদমাধ্যম আজ তাক বলছে, টালিগঞ্জের মতো বেলঘরিয়াতেও দেখা গেল, ঘরের মেঝেতে ছড়িয়ে ২ হাজার এবং পাঁচশ'র নোটের অনেক বান্ডিল। এমনকি শৌচাগারেও মেলে টাকা। এত দিন এ রকম দৃশ্য সাধারণত দেখা যেত বলিউডের ছবিতে। কিন্তু এবার চিত্রনাট্যকে হার মানাচ্ছে বাস্তবতা। রিলকে ছাপিয়ে যাচ্ছে রিয়েল।
প্রসঙ্গত, ২২ জুলাই টালিগঞ্জের একটি আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ২২ কোটি টাকা, সোনার গয়না এবং বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে ইডি। তার পর জানা যায়, বেলঘরিয়াতেও ফ্ল্যাট রয়েছে অর্পিতার। বুধবার (২৭ জুলাই) সেখানেই অভিযান চালায় ইডি। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা নাগাদ টাকা গণনা শেষ হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মীদের ডেকে এনে মোট চারটি বড় যন্ত্রে চলছিল টাকা গোনা।
নোট গণনার সাক্ষী হিসেবে এক ব্যক্তিকে ফ্ল্যাটের উপরে নিয়ে গিয়েছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তার আগে যদিও ট্রাঙ্ক-সহ একটি বড় ট্রাক নিয়ে আসা হয়েছিল ওই আবাসনে। ওই ট্রাঙ্কে ভরেই উদ্ধার-করা টাকা নিয়ে যাওয়া হয় সকালে। তার আগে টাকা ও অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া চলে। মোট আটটি ট্রাঙ্কে টাকা ভরা হয় এবং একটিতে সোনার বাট ও গয়না রাখা হয়।
বেলঘরিয়ার ‘ক্লাব টাউন’ আবাসনে বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ পৌঁছায় ইডি। ওই আবাসনে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার। দুটি ফ্ল্যাটের একটিতে টাকার সন্ধান পান তদন্তকারীরা। তল্লাশির পর অন্য ফ্ল্যাটটি ‘সিল’ করে দেওয়া হয়। তারপর শুরু হয় অন্য ফ্ল্যাটে টাকা গোনা।
এসএসএইচ