এবার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের কিচেনে হানা বিক্ষোভকারীদের
প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে তার সরকারি বাসভবন ঘেরাও করতে এসেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু গোপন গোয়েন্দাসূত্রে এ খবর পেয়ে সামরিক বাহিনীর সহায়তায় একদিন আগে, শুক্রবারই সরকারি বাসভবন থেকে পালিয়ে যান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।
কিন্তু প্রেসিডেন্টের পালিয়ে যাওয়ার খবর বিক্ষোভকারীদের অসন্তোষ না কমিয়ে বরং বাড়িয়ে দেয়। প্রেসিডেন্টের বাসভবন চত্বরে গিয়ে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান, তারপর এক পর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়েন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শত শত বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার বাসভবনে ঢুকে পড়েছেন। তারা বাড়ির ছাদে, বাগানে শ্রীলঙ্কার পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছেন।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের সুইমিং পুলে নেমে সাঁতার কাটছেন। এ সময় পুলের পাশে দাঁড়িয়ে অনেক বিক্ষোভকারীকে লঙ্কান পতাকা উড়াতে দেখা যায়।
অপর একটি ভিডিওতে দেখা যায়, প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কিচেনে ঢুকে পড়েছেন একদল বিক্ষোভকারী। সেখানে ফ্রিজ খুলে খাবার খাচ্ছেন কেউ। আবার অনেকে আটা-ময়দা, শাক-সবজি, মাছ-মাংস বের করে রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
— DailyMirror (@Dailymirror_SL) July 9, 2022
অনেকে আবার প্রেসিডেন্টের বিছানা, সোফায় শুয়ে সেলিফি তুলে তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে; আর মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে এসব ছবি ও ভিডিও।
১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর সবচেয়ে মারাত্মক আর্থিক সংকট পার করছে শ্রীলঙ্কা। বর্তমানে দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বলে আর কিছু নেই। ফলে ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ অধ্যুষিত শ্রীলঙ্কা খাবার, ওষুধ, জ্বালানির মতো অতি জরুরি আমদানি প্রয়োজন মেটাতে পারছে না।
— Jamila Husain (@Jamz5251) July 9, 2022
বর্তমান এই দুরাবস্থার জন্য দেশটির অধিকাংশ মানুষ প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে ও তার পরিবারের সদস্যদের দায়ী করছেন। গত মার্চ থেকেই তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলছে রাজধানী কলম্বোসহ বিভিন্ন শহরে।
এসএমডব্লিউ