কেন শিনজো আবের ওপর হামলা?
দুর্বৃত্তের গুলিতে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে মারা গেছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় নারা শহরে প্রচার কর্মসূচিতে বক্তব্য দেওয়ার সময় শিনজোকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে তিনি রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে এ ঘটনায় হামলাকারীকে সঙ্গে সঙ্গেই আটক করেছে পুলিশ। তার নাম তেতসুয়া ইয়ামাগামি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হামলাকারী পুলিশকে জানায়, শিনজো আবের ওপর ‘অসন্তুষ্ট’ ছিলেন তিনি।
জাপানের জাতীয় সংবাদমাধ্যম এনএইচকে’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি হাতে তৈরি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশকে উদ্ধৃত করে জাপানি সরকারি টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, তেতসুয়া ইয়ামাগামি নিজেই বন্দুকটি তৈরি করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এনএইচকে’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশের কাছে হামলাকারী দোষ স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি শিনজো আবের প্রতি ‘অসন্তুষ্ট’ ছিলাম। তাই তাকে গুলি করতে চেয়েছিলাম। তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম। তবে, তার রাজনৈতিক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আমার কোনো ক্ষোভ নেই।’
এর আগে শুক্রবার সকালে জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় নারা শহরে প্রচার কর্মসূচিতে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হন আবে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই জানানো হচ্ছিল। একপর্যায়ে চিকিৎসকদের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।
এদিকে শিনজো আবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন তার দলীয় এক কর্মকর্তা। পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, নারা শহরে হামলার শিকার হওয়া স্থানের কাছাকাছি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিনজো আবে মারা যান।
এমএইচএস