করোনা টিকা কেনার টাকা নেই ফিলিস্তিনের
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্বজুড়ে চলছে টিকাদান কর্মসূচি। তবে এক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে ফিলিস্তিন। ৩ কোটি মার্কিন ডলার অর্থসংকটে করোনা টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাধার মুখে পড়েছে দেশটি। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক রিপোর্টে একথা জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।
রিপোর্টে বিশ্ব অর্থনীতির অভিভাবক এই সংস্থাটি বলছে, দ্রুত টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনার দিক দিয়ে সারা বিশ্বে সবার শীর্ষে রয়েছে ইসরায়েল। দেশটির উচিত তাদের উদ্বৃত্ত করোনা ভ্যাকসিনগুলো অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বিতরণ করা।
বিশ্ব ব্যাংকের মতে, অর্থ জোগাড়, টিকা ক্রয় এবং বিতরণসহ নিরাপদ ও কার্যকরভাবে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনায় ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের উচিত একে অপরকে সহায়তা করা।
কোভ্যাক্স ভ্যাকসিনের মাধ্যমে আপতত ২০ শতাংশ ফিলিস্তিনিকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে মাহমুদ আব্বাস প্রশাসন। এছাড়া মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ মানুষের মধ্যে টিকা প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আরও ভ্যাকসিন কেনার পরিকল্পনা রয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের।
বিশ্ব ব্যাংক বলছে, ‘৬০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হলে ফিলিস্তিনের প্রয়োজন সাড়ে ৫ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু ৩ কোটি ডলারের ঘাটতি থাকায় বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’ আর তাই ঘাটতি পূরণে আন্তর্জাতিক দাতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, চলতি মাসে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে ফিলিস্তিন। তবে এখন পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), রাশিয়া ও ইসরায়েলের কাছ থেকে মাত্র ৩২ হাজার ডোজ টিকা সহায়তা হিসেবে পেয়েছে তারা। ৫২ লাখ জনসংখ্যার জন্য এই পরিমাণ টিকা যে খুবই অপ্রতুল, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
সূত্র: আলজাজিরা
টিএম