সিডনিতে বন্যা, অর্ধলক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরার আহ্বান
গত চার দিন ধরে প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম শহর সিডনির প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণ সময়ে আট মাসে অস্ট্রেলিয়াজুড়ে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়, গত চার দিনে দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী সিডনি ও তার আশপাশের এলাকায় তার সমপরিমাণ বর্ষণ হয়েছে। সেই সঙ্গে চলছে ঝড়ো হাওয়া।
অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া দপ্তর ব্যুরো অব মেটেরোলজির কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানান, গত চার দিনে ৮০০ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সিডনিতে। তারা আরও জানান, জলবায়ু পরিবর্তন ও লা নিনা ধাঁচের জলবায়ুর প্রভাবে চলতি বছরের ৭ মাসে অস্ট্রেলিয়ার ৬টি প্রদেশ ও ১০টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সবগুলোতেই বন্যা হয়েছে।
তার মধ্যে নিউ সাউথ ওয়েলসে এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো বন্যা দেখা দিল।
চলতি বছর বন্যায় অস্ট্রেলিয়ায় নিহত হয়েছেন ২০ জন। তাদের অধিকাংশই নিউ সাউথ ওয়েলসের।
এদিকে গত চার দিনের প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে সিডনির প্রায় সব সড়ক ডুবে গেছে, হাজার হাজার ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে এবং গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় শহরের হাজার হাজার মানুষ রয়েছেন বর্তমানে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায়।
রোববার থেকে বৃষ্টিপাতের তেজ কিছুটা কমলেও ঝড়ো হাওয়া এখনও চলছে। ফলে এখনও গাছপালা ও খুঁটি উপড়ানোর ঝুঁকি থেকে গেছে।
এক বিবৃতিতে নিউ সাউথ ওয়েলস প্রাদেশিক সরকারের জরুরি অবস্থা বিষয়ক মন্ত্রী স্টেফানি কুক বলেন, ‘সিডনিসহ রাজ্যজুড়ে এখন জরুরি অবস্থা চলছে এবং এই অবস্থা শিগগিরই শেষ হবে না।’
পৃথক আরেক বিবৃতিকে নিউ সাউথ ওয়েলসের মুখ্যমন্ত্রী ডমিনিক পেরোটেট সিডনির বাসিন্দাদের জরুরি ভিত্তিতে বাড়িঘর ত্যাগ করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের মধ্যে এখনও যারা আশ্রয়কেন্দ্রে না গিয়ে ঘরে অবস্থান করছেন, তারা নিজেদের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছেন।’
এসএমডব্লিউ