পাত্র চাই তবে স্কুল শিক্ষক নয়, বিয়ের অভিনব বিজ্ঞাপন
পাত্র চাই। তবে স্কুল শিক্ষক ‘নট অ্যালাউড’। রোববার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের স্থানীয় একটি দৈনিকে পাত্র চেয়ে এমন অভিনব বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। আর এই বিজ্ঞাপন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে ছড়িয়েছে। চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের এক পাত্রীর জন্য পরিবারের লোকজন পাত্রের খোঁজ চেয়ে সংবাদপত্রে ওই বিজ্ঞাপন দিয়েছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘উপযুক্ত পাত্র কাম্য (স্কুল শিক্ষক ব্যতীত)’। এই বিজ্ঞাপন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই তা নেটিজেনদের নজর কাড়ে।
পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু দিন আগে এই রাজ্যের আলিপুরদুয়ারে প্রাথমিকের এক শিক্ষককে ঋণ দিতে গিয়ে টেট পাশের নথি চায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এবার স্কুল শিক্ষককে বাদ দিয়ে মেয়ের জন্য পাত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন ওই বাবা।
স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হাই কোর্টের এক নির্দেশে ২৬৯ জনের চাকরি চলে গেছে। এর মধ্যে উত্তর দিনাজপুরেরই ৪০ জন রয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সিবিআই তদন্তও চলছে।
ডালখোলার স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জন দাসের কথায়, ‘হাইকোর্ট শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি যেভাবে চেপে ধরেছে তাতে দুর্নীতিগ্রস্তদের চাকরি চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মেয়ের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে শিক্ষক ছাড়া পাত্রের খোঁজ করেছেন ওই মেয়ের পরিবার। তবে এভাবে হয়তো বিজ্ঞাপন দেওয়া উচিত হয়নি।’
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোহাম্মদ সাহিদুল ইসলাম বলেন, এ যেন উল্টো-পুরাণ। একটা সময় ছিল মেয়ের জন্য শিক্ষক পাত্র চাইত পরিবার। তার জন্য অনেকেই মোটা অঙ্কের পণও দিতে পিছপা হত না।
রাজ্যের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অনুসারী প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চৌহান বলেন, এই ধরনের বিজ্ঞাপন দিয়ে মেয়ের পরিবার শিক্ষক সমাজকে অপমান করেছেন।
এসএস