সু চির বিচার আদালত থেকে কারাগারে স্থানান্তর
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির বিচার প্রক্রিয়া রাজধানী নেইপিদোর বিশেষ আদালত থেকে কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। কোনো প্রকার ব্যাখ্যা ছাড়াই ক্ষমতাসীন জান্তা এই নির্দেশ দিয়েছে বলে বুধবার রয়টার্সকে জানিয়েছে সু চির মামলা সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।
নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি রয়টার্সকে বলেন, ‘বুধবার বিচারক বলেছেন, এখন থেকে নতুন আদালত ভবনে (সু চির) বিচার কার্যক্রম চলবে।’
‘তবে আমরা জানতে পেরেছি, নতুন ভবন বলতে নেইপিদোর কারাগারকেই বুঝিয়েছেন আদালত।’
তবে কারাগারে বিচার কার্যক্রম চালালেও সু চিকে আপাতত কারাগারে থাকতে হবে না বলে জানিয়েছে সূত্র। সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে যেখানে তাকে বন্দি রাখা হয়েছে, সেখানেই তাকে রাখার অনুমতি দিয়েছেন জান্তা প্রধান মিন অং হ্লেইং।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও বন্দি হন সু চি। মিয়ানমারের তৎকালীন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন।
বন্দি করার পর অজ্ঞাত এক স্থানে রাখা হয় সু চিকে। সেই অজ্ঞাত স্থানের ঠিকানা জান্তা ছাড়া আর কেউ জানে না।
ইতোমধ্যে কারাবন্দি ৭৭ বছর বয়সী ও নোবেলে পুরস্কারজয়ী রাজনীতিক সু চির বিরুদ্ধে অন্তত ২০টি মামলা করেছে জান্তা বাহিনী। এসবের অধিকাংশই দুর্নীতি মামলা। নেইপিদোর বিশেষ আদালতে সেসব মামলার বিচার চলছে, যদি সব মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হন, সেক্ষেত্রে অন্তত ১৫০ বছর কারাগারে থাকতে হবে সু চিকে।
এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে সামরিক সরকারের একাধিক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, তবে কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এসএমডব্লিউ