বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী ৭০০ ছাড়িয়েছে: সিডিসি
বিরল ভাইরাসজনিত অসুখ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বিশ্বজুড়ে ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত এ রোগে মৃত্যুর কোনো ঘটনা কোথাও ঘটেনি।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের রোগ প্রতিরোধ সংস্থা সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) উপপরিচালক জেনিফার ম্যাককুইসটন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ২১ জনের দেহে মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬ জন সমকামী পুরুষ এবং এই ২১ রোগীদের ১৪ জনই আফ্রিকা ভ্রমণে গিয়েছিলেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে কয়েকজন সুস্থ হয়ে গেছেন, বাকিরাও চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়া পথে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ কানাডায়ও ছড়িয়েছে মাঙ্কিপক্স। এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছেন, দেশটিতে মোট ৭৭ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এই রোগীদের প্রায় সবাই কানাডার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ কুইবেকের।
মাঙ্কিপক্স একটি বিরল ও স্বল্প পরিচিত ভাইরাসজনিত অসুখ। স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির একটি ভাইরাস এ রোগের জন্য দায়ী। ভাইরাসটির দু’টি রূপান্তরিত ধরন রয়েছে— মধ্য আফ্রিকান ও পশ্চিম আফ্রিকান।
বিশেষজ্ঞদের মতে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার উষ্ণ ও আদ্র বনাঞ্চলের বানররা ছিল এ রোগের প্রথম শিকার।তার পর একসময় মানবদেহেও সংক্রমিত হওয়া শুরু করে মাঙ্কিপক্স।
রোগটির বিভিন্ন লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ঘেমে যাওয়া, পিঠে ব্যথা, মাংসপেশির টান ও অবসাদ। প্রথম পর্যায়ে রোগীর জ্বর আসে, পাশাপাশি শরীরে দেখা দেয় ফোস্কা ও অধিকাংশ ঘটনায় শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি ওঠে। পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে; বিশেষ করে হাত ও পায়ের তালুতে।
বসন্তের মতোই প্রথম পর্যায়ে লাল থাকে এসব ফুসকুড়ি, তারপর ভেতরে জলপূর্ণ ফোস্কায় রূপ নেয়, শেষে শুকিয়ে পড়ে যেতে থাকে। দুই থেকে চার সপ্তাহ স্থায়ী হয় এই রোগ। তারপর নিজে নিজেই সেরে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তেমন বড় কোনো জটিলতা হয় না।
১৯৭০ সালের পর থেকে আফ্রিকার ১১ দেশে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। ২০১৭ সালের পর নাইজেরিয়ায় চলতি সবচেয়ে বেশি এ রোগের প্রকোপ দেখা গেছে।
গত ৭ মে প্রথম একজন ইউরোপীয়ের দেহে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়। নাইজেরিয়া থেকে ওই ব্যক্তি ইংল্যান্ডে ফিরে এসেছিলেন।
এসএমডব্লিউ