প্রতিদিন ৬০ থেকে ১০০ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হচ্ছে: জেলেনস্কি
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযান তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। রুশ বাহিনীর গুলি ও গোলাবর্ষণে বর্তমানে প্রতিদিন ৬০ থেকে ১০০ জন ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হচ্ছেন, আহত হচ্ছেন আরও প্রায় ৫০০ জন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউজম্যাক্স টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘পুরো ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সঙ্গে আমাদের সেনাবাহিনীর সংঘাত হচ্ছে; তবে সবচেয়ে কঠিন অবস্থা চলছে দেশের পূর্বাঞ্চলে এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় দুই প্রদেশ দনেতস্ক ও লুহানস্কে।’
‘এই তিন অঞ্চলের পাশাপাশি পুরো ইউক্রেনেই বিধ্বংসী হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। প্রতিদিন যুদ্ধক্ষেত্রে আমাদের সেনাবাহিনীর ৬০ থেকে ১০০ জন সদস্য নিহত হচ্ছেন, আহত হচ্ছেন আরও প্রায় ৫০০ জন।’
‘আমাদের সেনারা অবশ্য পিছু হটছে না; জীবন বাজি রেখে তারা লড়াই করে যাচ্ছে।’
এর আগে বিভিন্ন সময়ে রুশ সেনাদের নিহতের সংখ্যা জানালেও এই প্রথম নিজেদের সামরিক বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি সরাসরি তুলে ধরলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে সীমান্তে আড়াই মাস সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ঘোষণা দেওয়ার দু’দিন আগে ইউক্রেনের রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চল দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি।
বুধবার ৯৮ তম দিনে পৌঁছেছে ইউক্রেনে রুশ সেনাদের অভিযান। ইতোমধ্যে দেশটির দুই বন্দর শহর খেরসন ও মারিউপোল, দনেতস্ক প্রদেশের শহর লিয়াম এবং মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ জাপোরিজ্জিয়ার আংশিক এলাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে রুশ বাহিনীর হাতে।
ইউক্রেনের প্রথম যে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ রুশ বাহিনী নিয়েছিল, সেটি দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর খেরসন। গত ২ মার্চ খেরসন দখল করে রুশ সেনারা।
সূত্র: তাস
এসএমডব্লিউ